ইরানে নতুন করে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। এমন সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে সতর্ক করে বলেছেন, অনেক দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই পারমাণবিক চুক্তিতে রাজি হতে হবে। ইসরাইল যে হামলা চালাচ্ছে তা আরও ভয়াবহ হবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি। শুক্রবার ভোররাতে ইরানের কয়েকডজন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে তেল আবিব। এর জবাবে ইরানও পাল্টা ড্রোন পাঠিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নেয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। শুক্রবার কয়েক দফা হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই পুনরায় ইরানে হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। হামলা অব্যাহত থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এদিকে পারমাণবিক ইস্যুতে চুক্তিতে রাজি হতে চাপ দিয়ে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ইরানকে অবশ্যই পারমাণবিক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিতে রাজি হতে হবে। নইলে তাদের আরও ধ্বংসাত্মক ও ভয়াবহ সামরিক পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানকে চাপে রেখে পারমাণবিক চুক্তিতে রাজি করাতেই নেপথ্যে কাজ করছেন ট্রাম্প। সোশ্যাল মিডিয়ার এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ইতিমধ্যেই বহু প্রাণহানি এবং ধ্বংসযজ্ঞের মুখোমুখি হয়েছে ইরান। তবে এখনও নৃশংস হত্যাযজ্ঞ থামানোর এখনও সময় আছে। ইরানকে অবশ্যই আরও কিছু হারানোর আগে চুক্তিতে রাজি হতে হবে এবং ইরানি সম্রাজ্য বাঁচাতে হবে। সামরিক হুমকি দেয়া সত্ত্বেও ইরান যুক্তেরাষ্ট্রের প্রস্তাবে রাজি হয়নি বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। বলেন, তাদের জানা উচিত যা করা হয়েছে বা বলা হয়েছে তার চেয়েও ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হবে তারা।
ওই পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, আমি ইরানকে চুক্তি করতে একের পর এক সুযোগ দিয়েছি। আমি তাদের কঠোরভাবে বলেছি যে, তারা যেন চুক্তিতে সম্মত হয়। তবে চুক্তিটি করতে ব্যর্থ হয়েছে। যদিও ইসরাইলের সঙ্গে মার্কিন সামরিক বাহিনী যোগ দেবে কিনা সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি ট্রাম্প। তবে বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইসরাইলে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখবেন তিনি। ট্রাম্প লিখেছেন, ইসরাইলের কাছে অনেক (অস্ত্র) আছে, এটা তারা পেতে থাকবে এবং তারা জানে এগুলো কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। প্রসঙ্গত, নির্বাচনী প্রচারণার সময় উত্তপ্ত সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে ক্ষমতায় বসার পাঁচ মাস পর ইরানে ইসরাইলের হামলা, গাজা ও ইউক্রেনের রক্তপাত অব্যাহত থাকায় সেই প্রতিশ্রুতি ভেঙে পড়েছে। কার্যত তিনি তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছেন না বলে মত বিশ্লেষকদের।