সর্বশেষ
[glt-translator]
Home » আইন-আদালত » বাহাসঃ খোকন বললেন- সংসদে এখন ৬০০ এমপি, অ্যাটর্নি জেনারেল বললেন- সংবিধানসম্মত

বাহাসঃ খোকন বললেন- সংসদে এখন ৬০০ এমপি, অ্যাটর্নি জেনারেল বললেন- সংবিধানসম্মত

এমপি-মন্ত্রীদের শপথ নিয়ে বিএনপি সমর্থক আইনজীবী ও অ্যাটর্নি জেনারেল পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন। বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের মতে এমপি-মন্ত্রীদের শপথ অবৈধ। এখনো একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়নি। এই সংসদের মেয়াদ ২৯শে জানুয়ারি পর্যন্ত। এর আগেই দ্বাদশের সংসদ সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। এখন দেশে সংসদ সদস্য ৬০০ জন!। আইন অনুযায়ী নতুন এমপিদের শপথের সাংবিধানিক কোনো বৈধতা নেই। তবে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশে নির্বাচন হয়েছে এবং সংবিধান অনুযায়ীই এমপিদের শপথ ও মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে। এমপিদের শপথ অসাংবিধানিক বলাটা ভ্রান্ত ধারণা বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মঙ্গলবার ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, আইনের দৃষ্টিতে কোনো নির্বাচন হয়নি। আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার এমপি প্রার্থী যারা হেরে গেছেন, তারা বলেছেন- কীভাবে ভোটে কারচুপি হয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও বলেছন। ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আওয়ামী লীগ আইন মানে না, সংবিধান মানে না। পাঁচ বছর মেয়াদ শেষের আগেই আবার ৩০০ জন শপথ নিয়েছেন। এখন কি তাহলে দেশে সংসদ সদস্য ৬০০ জন? তিনি বলেন, ১০ই জানুয়ারি নতুন এমপিদের শপথের সাংবিধানিক বৈধতা নেই। তিনি নতুন এমপিদের পদত্যাগ করতে বলেন। এ বিষয়ের প্রতিকারে আদালতের দ্বারস্থ হবেন কিনা?- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোথায় যাব?
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচন কমিশনতো অন্ধ, কানে শোনে না। তাদের চোখে নির্বাচনে কোনো অনিয়ম ধরা পড়েনি। ভোট কারচুপির নানা বিষয় তুলে ধরলেও ইসি’র কমিশনারগণ চোখেও দেখেননি। এমন কি কানেও শোনেননি। নির্বাচন কমিশন কি তাহলে সত্যি সত্যিই অন্ধ?

বিএনপি নেতার এমন বক্তব্যের বিষয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এমপিদের শপথটা নিতে হয় আইনের বাধ্যবাধকতার জন্য। সংবিধান অনুযায়ী দেশে নির্বাচন হয়েছে এবং সংবিধান অনুযায়ীই এমপিদের শপথ ও মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে। তবে শপথগ্রহণ হলেও একাদশ সংসদের মেয়াদ যেহেতু ২৯শে জানুয়ারি শেষ হবে, তাই এরপর অর্থাৎ ৩০শে জানুয়ারি দ্বাদশের নির্বাচিত এমপিরা সংসদে বসতে পারবেন। এটা নিয়ে যদি কেউ প্রশ্ন তোলে সেটা ভ্রান্ত ধারণা থেকেই, যেটা সঠিক নয়। তিনি বলেন, সংবিধানের বিষয়টি ওনারা হয়তো সঠিকভাবে দেখেননি। ওনারা শপথ নিয়েছেন আইনে বাধ্যবাধকতা থাকার কারণে। বর্তমান পার্লামেন্ট বহাল থাকার কারণে ওনারা সংসদ অধিবেশনে যোগদান করতে পারবেন না। কিন্তু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ৯০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর ওনারা পার্লামেন্ট অধিবেশনে যোগদান করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের এমপিরা শপথ নেয়ার পাশাপাশি নতুন মন্ত্রিসভাও গঠন করা হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা কার্যক্রমও শুরু করেছে। তবে একাদশ সংসদ এখনও বিদ্যমান রয়েছে। আগামী ২৯শে জানুয়ারি এই সংসদের মেয়াদ শেষ হবে। আগের সংসদ বহাল রেখে নতুন এমপিদের শপথ ও নতুন সরকারের কার্যক্রম শুরু নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন। তবে সরকারের তরফে বিষয়টিকে আইনসিদ্ধ বলেই মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *