News Times BD

সীমান্তে হত্যা পুরোপুরি বন্ধের আলোচনা: বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক

বিএসএফ ও বিজিবির মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে দিপক্ষীয় সম্পর্কের স্বার্থে সীমান্তে হত্যা পুরোপুরি বন্ধের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ১৭ই ফেব্রুয়ারি ভারতের নয়াদিল্লিতে এই আলোচনা শুরু হয়েছে। শেষ হওয়ার কথা ২০ শে ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার। এতে বিজিবি বলেছে, সীমান্তের অপরাধীদের ধরে প্রচলিত আইনের অধীনে শাস্তি দেয়া উচিত। কিন্তু কেউ সীমান্ত অতিক্রম করার কারণে তাকে গুলি করে মেরে ফেলা মোটেও মানবিক বিষয় নয়। এ বিষয়টি বাংলাদেশের কাছে খুবই স্পর্শকাতর। বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষীদের বার্ষিক বেঠকে সীমান্ত হত্যা শুণ্যে নামিয়ে আনার দাবি জোরালোভাবে তুলে ধরেছে বিজিবি। পক্ষান্তরে ভারত বলেছে, বিএসএফ সব সময় সেই চেষ্টা করে। কিন্তু অপরাধীরা মাঝে মাঝে প্রচণ্ড আক্রমাণাত্মক হয়ে ওঠে। ফলে গুলি চালানো ছাড়া উপায় থাকে না। এসব তথ্য জানানো হয়েছে মিডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্টে। ওদিকে অনলাইন এএনআই লিখেছে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের মধ্যে ৫৫তম সীমান্ত সহযোগিতা বিষয়ক মহাপরিচালক বিষয়ক কনফারেন্স শুরু হয় নয়া দিল্লিতে। বিএসএফ বিবৃতি বলেছে, ১৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এই কনফারেন্স।
সোমবার ইন্ডিরা গান্ধী বিমানবন্দরে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী ও তার সঙ্গে থাকা প্রতিনিধিদের স্বাগত জানান বিএসএফের মহাপরিচালক দলজিৎ সিং চৌধুরী। সোমবার এক্সে একটি পোস্ট শেয়ার দিয়ে বিএসএফ লিখেছে- ৫৫তম বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স-বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সহযোগিতা নিয়ে কনফারেন্স ১৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে ২০শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নয়া দিল্লিতে হবে। সীমান্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করার জন্য প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিজিবির মহাপরিচালক। একই সঙ্গে বর্ডার গার্ডিং ফোর্সেস বা সীমান্ত প্রহরা বিষয়ক দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে এই আলোচনায় উন্নত সহযোগিতা করা হবে। এর আগে ৩১শে জানুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে যে, দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীদের মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে বৈঠক ১৭ থেকে ২০ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নয়া দিল্লিতে হবে। সে সময় মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, সীমান্ত সংশ্লিষ্ট সব ইস্যুতে আলোচনা হবে। পারস্পরিক সমঝোতা এবং চুক্তির প্রতি সম্মান দেখানো গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মনে করি পারস্পরিক সব সমঝোতা স্বারক ও চুক্তির প্রতি সম্মান দেখানো হবে।

Exit mobile version