কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পর থেকে একের পর এক কঠিন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। এবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমেরিকার দূতাবাসগুলোকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভিসার জন‍্য সাক্ষাৎকার সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবারের পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে কনস্যুলার বিভাগগুলিকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী বা এক্সচেঞ্জ ভিজিটর (এফ, এম, এবং জে) ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট পরবর্তী আদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।

এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে আমেরিকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের প্রবেশের সুযোগে আরেক দফা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

বর্ধিত যাচাই-বাছাইয়ের প্রস্তুতির জন্য শিক্ষার্থীদের ভিসার জন্য আর কোনও সাক্ষাৎকার যোগ না করতে এবং তাদের ক্যালেন্ডার থেকে কোনও অপূর্ণ সাক্ষাৎকার বাদ দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবে যেসব শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যেই ভিসা সাক্ষাৎকারের সময়সূচি পেয়েছে তারা এর আওতায় আসবে না।

পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, ‘বিদেশ থেকে কে আসছে তা যাচাই করার প্রক্রিয়াটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নেয়া হবে এবং আমরা এটি চালিয়ে যাব।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক আন্তর্জাতিক ছাত্রদের সাধারণত ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তাদের নিজ দেশে অবস্থিত একটি আমেরিকান দূতাবাস বা কনস্যুলেটে সাক্ষাৎকারের সময় নির্ধারণ করতে হয়। অপেক্ষার সময় ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়: বেশিরভাগ দূতাবাসে, ছাত্র ভিসা সাক্ষাৎকারের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট দুই মাসেরও কম আগে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে ।

উল্লেখ্য গণমাধ্যম সিবিএস জানিয়েছে গত মাসে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে তারা কিছু ভিসা আবেদনকারীর, যার মধ্যে শিক্ষার্থী ভিসা প্রার্থীরাও অন্তর্ভুক্ত, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় ইহুদিবিরোধী কার্যকলাপ এবং ইহুদি ব্যক্তিদের শারীরিক হয়রানির’ জন্য স্ক্রিনিং করবে। ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিনিপন্থী আন্দোলনের কারণে ইতিমধ্যে কিছু ছাত্রকে বহিষ্কার করার চেষ্টা করেছে। সম্প্রতি শিক্ষার্থীরা যাতে ভিসার শর্তগুলো মেনে চলে এবং শিক্ষার্থী পরিচয় বজায় রাখে সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকার কঠোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here