যে শিক্ষক বা শিক্ষিকা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠনের দায়িত্বে তারাই যদি অনৈতিকতায় ডুবে যান, তাহলে সমাজের অধঃপতন অনিবার্য। কিন্তু এমনই ঘটনা অহরহ ঘটছে শিক্ষাঙ্গনগুলোতে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছে শিক্ষক বা শিক্ষিকা নামের এসব নরপিশাচ। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় এমনই এক শিক্ষিকার সন্ধান মিলেছে। তিনি সেখানকার অরেঞ্জ কাউন্টির একটি মিডল স্কুলের শিক্ষিকা। শ্রেণিকক্ষেই একজন ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার কারণে অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি। তাকে জেলে পাঠানো হয়েছে। অনলাইন ওয়েশ এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়, সোমবার গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত শিক্ষিকা সারাহ জ্যাকাসকে। মঙ্গলবার বিকেলে বিচারকের সামনে তোলা হয়। তারপর থেকে তাকে রাখা হয়েছে অরেঞ্জ কাউন্টি জেলে। তদন্তকারীরা বলছেন, কর্নার লেক মিডল স্কুলে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন ওই শিক্ষিকা। অরেঞ্জ কাউন্টি পাবলিক স্কুলস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, সারাহ জ্যাকাস ওই স্কুলের একজন শিক্ষিকা। ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ওই স্কুলে তিনি ছাত্রের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।
তদন্তকারীরা বলছেন, লাঞ্চ টাইমের সময় ১৪ বছর বয়সী একটি ছেলের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতেন সারাহ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, লাঞ্চের সময় ওই শ্রেণিকক্ষের জানালার সব পর্দা টেনে দিতেন তিনি। এক পর্যায়ে দরজা বন্ধ করে দিতেন। তদন্তকারীদের কাছে ওই বালকটি বলেছে, সে লাঞ্চ খেতো ওই শিক্ষিকার ক্লাসরুমে। আদালত জানতে পেরেছে সারাহ বিবাহিতা। তার ১২ বছর বয়সী একটি ছেলে আছে। গোয়েন্দারা বলেছেন, ওই বালককে সারাহ জানিয়েছেন তার স্বামী তাদের সম্পর্কের বিষয় জানতে পেরেছে এবং এ বিষয়ে রিপোর্ট করার হুমকি দিয়েছেন। ভিকটিম অথবা এই মামলার অন্য কোনো প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে যেকোন রকম যোগাযোগ করা থেকে বিরত থাকতে সারাহর প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।