মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এক নাটকীয় ঘোষণায় জানিয়েছেন, আগামী ১লা আগস্ট থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও মেক্সিকো থেকে আমদানি করা সব পণ্যে ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। শনিবার ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে প্রকাশিত দুটি পৃথক চিঠিতে এই ঘোষণা দেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠিতে ট্রাম্প স্বীকার করেন, মেক্সিকো যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশকারী অভিবাসী ও ফেন্টানিল পাচার রোধে কিছু সহায়তা করেছে। তবে, তার দাবি, দেশটি এখনো যথেষ্ট পদক্ষেপ নেয়নি। ইইউ নেতাদের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে ট্রাম্প জানান, ইইউর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্ক ‘পারস্পরিক’ নয় বরং দীর্ঘমেয়াদী বাণিজ্য ঘাটতির দিকে পরিচালিত হয়েছে। ইইউর শুল্ক, অশুল্কনীতি এবং বাণিজ্য বাধা আমাদের জন্য বৈষম্যমূলক।
এই ঘোষণায় ইইউর সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনার সম্ভাব্য আশায় গুঁড়েবালি হয়ে গেছে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা। ইউরোপীয় বাণিজ্য কমিশনার মারোশ শেফচোভিচের সঙ্গে ১০ ভাগ শুল্ক নিয়ে আলোচনার গুঞ্জন থাকলেও ট্রাম্পের হঠাৎ ৩০ ভাগ হারে শুল্ক চাপানো ইইউর জন্য বড় ধাক্কা। এই উচ্চ শুল্ক হার সবচেয়ে বেশি আঘাত হানবে কম মার্জিনের পণ্যে- বিশেষ করে বেলজিয়ামের চকলেট, আয়ারল্যান্ডের মাখন ও ইতালির অলিভ অয়েল রপ্তানিতে। ব্রাসেলস এই ঘোষণাকে ট্রাম্পের ‘চাপ প্রয়োগের কৌশল’ হিসেবে দেখছে এবং প্রায় নিশ্চিত যে, ইইউ আলোচনা পুনরায় শুরু করার দাবি তুলবে। ট্রাম্প অতীতে ইইউকে ‘চীনের চেয়েও খারাপ বাণিজ্য অংশীদার’ বলে উল্লেখ করেন। বৃটেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য আলোচনায় ২৭.৫ ভাগ গাড়ি রপ্তানি শুল্ক কমিয়ে ১০ ভাগে নামানোর প্রতিশ্রুতি ছিল। তবে চূড়ান্ত চুক্তি নিবন্ধনে সাত সপ্তাহ সময় লেগেছিল, এবং বৃটিশ স্টিল রপ্তানিতে শুল্ক মুক্তির বিষয়টি বাদ পড়েছিল।