বৃটিশ-বাংলাদেশি এবং বৃহত্তর মুসলিম কমিউনিটির সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত আইকনিক ব্রিকলেন -বাংলা টাউনের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ‘ঈদ মোবারাক’ লেখা লাইটে আলোকিত হয়েছে । এর মাধ্যমে রমজানের সমাপ্তি পর্ব ও বারার সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকে চিহ্নিত করা হইছে।
ব্রিকলেনে এই আয়োজনের জন্য টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল একযোগে কাজ করেছে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি গ্রূপের সঙ্গে। আর এই প্রাণবন্ত উপস্থাপনা একটি আলোকজ্জ্বল পরিবেশ তৈরি করেছে যা ইস্ট লন্ডনের বহুজাতিক সমাজেকে প্রতিফলিত করে।
২৭শে মার্চ বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে লাইটগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। আর এই অভাবনীয় মুহূর্তটি উদযাপনের জন্য, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান এবং ক্যাবিনেট সদস্যরা কমিউনিটির সঙ্গে মিলিত হন।
জানা যায়, এই ডিসপ্লেটি ব্রিকলেনে বেশ কয়েকদিন থাকবে, যাতে দর্শণার্থীরা ঈদ-উল-ফিতরের আনন্দে অংশ নিতে এবং তাদের অনুভূতি ভাগাভাগি করতে পারেন।
এই অস্থায়ী লাইটিং কেবলই শুরু। ব্রিকলেন-বাংলা টাউনের উন্নয়নে আরো বড় পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। আছে সিজনাল ও কারী ফেস্টিভ্যাল আয়োজনের কর্মসূচি । এছাডা রয়েছে সড়কের সংস্কার, পুরো রাস্তায় ডিপ ক্লিনিং, পরিচ্ছন্নতা, অপ্রয়োজনীয় গ্রাফিতি সরানো কর্মসূচি।

টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান বলেন, ‘টাওয়ার হ্যামলেটস দেশের বৃহত্তম মুসলিম কমিউনিটির আবাসস্থল। আমরা এই ঈদের গুরুত্বপূর্ণ দিনটিকে দৃষ্টিনন্দন করে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। অনেক বছর ধরে ব্রিকলেন-বাংলা টাউন আমাদের বারার সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং স্থায়িত্বের প্রতীক। আর এই ঈদ মোবারাক লাইটিং শুধু মুসলমানদের অবদানকেই সম্মান জানাচ্ছে না, সাথে সাথে সম্মান জানাচ্ছে আমাদের একতাবদ্ধ হয়ে উদযাপনকেও। ভবিষ্যতে স্থায়ী লাইট ডিসপ্লে আমাদেরকে সুযোগ করে দেবে বিভিন্ন সংস্কৃতি, ধর্ম এবং ঐতিহ্যকে সম্মান জানানোর। আর এই কারণেই টাওয়ার হ্যামলেটস সবার কাছে একটি বিশেষ জায়গা।‘
স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং রেস্টুরেন্ট মালিকরা যারা বছরের পর বছর ধরে ব্রিকলেনে ব্যবসা করছেন, তাদের অনুভূতি ছিল আনন্দের।
ব্রিকলেন-বাংলা টাউনের রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট গুলজার খান ও
বাংলা টাউন অ্যান্ড ম্পিটাল ফিল্ড কমিউনিটি ফোরামের প্রেসিডেন্ট আবুল খায়ের কাউন্সিলর এই আয়োজনের প্রশংসা করেন। বলেন, মেয়র লুৎফর আমাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে চেষ্টা করেছেন। এসময় বৃটিশ-বাংলাদেশ চেম্বারের প্রেসিডেন্ট রফিক হায়দারও উপস্থিত ছিলেন।
উলেখ্য টাওয়ার হ্যামলেটসের অন্যান্য ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক উৎসবগুলোর উদযাপনকে অনুসরণ করেই এই ঈদ লাইটের সংযোজন। সকল কমিউনিটির ঐতিহ্যগুলোর স্বীকৃতি এবং উদযাপন কাউন্সিলের প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন ঘটায়।
এতে ডেপুটি মেয়র মাইয়ুম মিয়া তালুকদার, বিজনেস কেবিনেট মেম্বার মুস্তাক আহমদ, কালচার কেবিনেট মেম্বার কামরুল হাসান, এনভায়রনমেন্ট কেবিনেট মেম্বার সাফি আহমদ ও কমিউনিটি সেফটি কেবিনেট মেম্বার আবু তালহা চৌধুরীসহ আরো অনেকে অংশ নেন।