ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের এক শীর্ষ কর্মকতাকে হত্যা করেছে ইসরাইল। রোববার ভোরে উপত্যকাটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে হামলা চালিয়ে সালাহ আল বারদা-উইলকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। হামাসের রাজনৈতিক শাখার নেতা ছিলেন সালাহ। খান ইউনিসের আল মাওয়াসি এলাকায় সালাহর সঙ্গে তার স্ত্রীও নিহত হয়েছেন। তবে হামলার বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি ইসরাইল। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, গত সপ্তাহের মঙ্গলবার হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে গাজায় পুনরায় তুমুল হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। এর মাধ্যমে জানুয়ারিতে শুরু হওয়া প্রায় দুই মাসের ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির চুক্তির অবসান হলো। তবে ওই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। সংগঠনটির দাবি একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতির চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরাইল।
এদিকে আল জাজিরার লাইভ আপডেটে জানানো হয়েছে, কয়েক ঘণ্টা ধরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ ও ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে। গাজার দক্ষিণে খান ইউনিস শহরকে লক্ষ্য করে এসব আক্রমণ চালানো হয়েছে। খান ইউনিস শহরের পশ্চিমে সংঘটিত দুটি হামলার মধ্যে একটিতে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য সালাহ আল-বারদাউইল তার স্ত্রীসহ নিহত হয়েছেন। তারা শহরটির আল-মাওয়াসি এলাকায় নিহত হয়েছেন। আর জাজিরার রিপোর্টার তারেক আবু আযম বলেছেন, এখানকার পরিস্থিতি এখনও সংকটজনক। আমি যখন কথা বলছি তখনও আমি মধ্য গাজায় ইসরায়েলি ড্রোনগুলোর উড্ডয়নের শব্দ শুনতে এবং দেখতে পাচ্ছি।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শেষ একদিনে গাজার বিভিন্ন অংশে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৩২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল।
ইসরাইলি হামলায় হামাসের রাজনৈতিক শাখার শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত
