ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল আব্দুররহিম মুসাভি। তিনি বলেছেন, যদি শত্রুরা ইরানের বিরুদ্ধে আবার কোনো আগ্রাসী পদক্ষেপ নেয়, তাহলে তাদেরকে আরও ‘বিধ্বংসী প্রতিক্রিয়া’ মোকাবিলা করতে হবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইরনা। উল্লেখ্য, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বার বার বলে এসেছেন যে, ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু করলে তাদের ওপর আবার বোমা ফেলা হবে। এই হুমকির কড়া জবাব দিয়ে ওই মন্তব্য করেন আব্দুর রহিম মুসাভি।  বুধবার ইসরাইল আরোপিত ১২ দিনের যুদ্ধে শহীদদের স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। মুসাভি বলেন, শত্রুরা যদি আবার কোনো নিষ্ঠুর বা অবৈধ কাজ করে, তাহলে আমাদের জবাব এর চেয়েও ভয়ঙ্কর হবে। তিনি বলেন, ইরানের প্রতিক্রিয়া হবে ‘সরাসরি, দৃঢ় ও নির্দিষ্ট’ এবং আগ্রাসনকারীদেরকে ‘অনুশোচনায় পুড়তে হবে।’ 

তিনি ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলাকে উসকানিমূলক আগ্রাসন আখ্যা দেন এবং বলেন, ১৩ই জুন ইসরাইল সেনা ও পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যার উদ্দেশ্যে টার্গেটেড হামলা চালায়। এর ফলে শতাধিক সাধারণ নাগরিক নিহত হন। পরে ২২শে জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালিয়ে সরাসরি যুদ্ধে যুক্ত হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল অধিকৃত ভূখণ্ডে ড্রোন ও ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ঘটায় ইরান। একইসঙ্গে ইরান কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় বিমানঘাঁটিতে মিসাইল হামলা চালায়। এই পাল্টা প্রতিক্রিয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ২৪ জুন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। মুসাভি বলেন, ইরানের সাম্প্রতিক বিজয় মহান নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনি দিকনির্দেশনা, ইরানি জনগণের দৃঢ়তা এবং সশস্ত্র বাহিনীর শক্তির ফল। এই মন্তব্যের চারদিন আগে তেহরানের গ্র্যান্ড মসাল্লা মসজিদে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সামরিক ও পরমাণু বিজ্ঞানী শহীদদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান ও অন্য উচ্চপর্যায়ের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here