জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আজ বৃহস্পতিবার গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে একটি খসড়া প্রস্তাবে ভোট হতে যাচ্ছে। প্রস্তাবটিতে তাৎক্ষণিক, নিঃশর্ত এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে। সম্প্রতি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে এ রকম প্রস্তাব পাস হয়নি। ১৯৩ সদস্যবিশিষ্ট সাধারণ পরিষদে এই প্রস্তাব বহুল সমর্থন পাবে বলে কূটনীতিকরা ধারণা করছেন।

অন্যদিকে সদস্য দেশগুলোকে আজকের এই প্রস্তাবে ভোটে অংশ না নেওয়ার জন্য ব্যাপকভাবে চাপ দিয়ে আসছে ইসরাইল। এই উদ্যোগকে তারা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অকার্যকর নাটক’ বলে আখ্যা দিয়েছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্তগুলো বাধ্যতামূলক নয়, তবে তারা বিশ্ব জনমত ও কূটনৈতিক প্রবণতার প্রতিফলন হিসেবে গুরুত্ব বহন করে। এর আগে সাধারণ পরিষদ গাজায় যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি। তবে নিরাপত্তা পরিষদের মতো এখানে কোনো সদস্য রাষ্ট্রের ভেটোর অধিকার নেই। ফলে প্রস্তাবটি সহজেই গৃহীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বলেছে, এটি চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এরই মধ্যে ওয়াশিংটন বিভিন্ন দেশকে আগামী সপ্তাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ শান্তি সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। সেখানে ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। যুক্তরাষ্ট্র এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ না করার জন্য সদস্য দেশগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছে। যা ওয়াশিংটনের বর্তমান মধ্যপ্রাচ্য নীতির প্রতিফলন বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ৭ই অক্টোবরের পর থেকে গাজায় ইসরাইলি নৃশংস সামরিক অভিযান চালু হয়েছে। নির্বিচারে তারা নিরীহ সাধারণ মানুষকে হত্যা করে একটি পুরো জনপদকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিচ্ছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে গাজার উষর মাটি। সেখানে নিহতদের দাফন করার মতো স্থানও ফুরিয়ে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ পরিষদের পূর্ববর্তী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ১৫৩টিরও বেশি দেশ সমর্থন দিয়েছিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here