ভারতের বিহারে জাদুবিদ্যা চর্চার অভিযোগে এক পরিবারের পাঁচ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর মৃতদেহগুলোকে একটি পুকুরে ফেলে দেয়া হয়। পুলিশ মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এতে সম্পৃক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৭৫ বছর বয়সী এক নারীও ছিলেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এতে বলা হয়েছে, মূল অভিযুক্ত বিশ্বাস করেন তার ছেলের মৃত্যুর জন্য ওই পরিবার দায়ী। তারা জাদু চর্চা করে তার ছেলেকে খুন করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগী উভয়ই ভারতের বিহারের ওরাওঁ উপজাতির সদস্য। যা দেশটির সবচেয়ে দরিদ্র রাজ্য এবং ১৩ কোটি মানুষের হিন্দু অধ্যুষিত অঞ্চল। উল্লেখ্য, কুসংস্থারের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচার থাকা সত্ত্বেও ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মধ্যে এখনও জাদুবিদ্যায় বিশ্বাসের প্রবণতা দেখা যায়। বিহারসহ কয়েকটি রাজ্যে কুসংস্থার ও জাদুবিদ্যা সম্পর্কিত অপরাধ রোধের জন্য আইন চালু করা হয়েছে। এরপরও দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রায়ই নারীদেরকে ডাইনি হিসেবে অভিহিত করার মতো ঘটনা দেখা যায়। তবে সম্প্রতি এক পরিবারের পাঁচ সদস্যকে হত্যার ঘটনা নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য মতে, ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত জাদুবিদ্যায় সম্পৃক্ততার সন্দেহে ১ হাজার ৫০০ মানুষকে খুন করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই নারী। ভুক্তভোগীদের মধ্যে কেউ কেউ জাদুবিদ্যায় বিশ্বাস করলেও অনেক সময় হামলাকারীরা জমি ও সম্পত্তি বিষয়ক বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়েও হামলা করে থাকে।