পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পরে বিজেপি যখন জাতীয়তাবাদের আবেগ উস্কে সর্বত্র প্রচার চালাচ্ছে, তারই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর দুয়ারে এসেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সোচ্চার, হয়েছেন। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে এক জনসভায় মোদি বলেন, অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি, তিন বার ঘরে ঢুকে মেরেছি, হামলা হলে শত্রুদের আবার বড় মূল্য দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী
বলেন, পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় আপনাদের প্রবল রাগ হয়েছিল। সেই রাগই আমাদের শক্তি জুগিয়েছে। যারা পহেলগাঁও ঘটিয়েছে, তাদের সিঁদুরের শক্তি বুঝিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। কল্পনাই করতে পারেনি পাকিস্তান।
এদিনের জনসভা থেকে ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারও শুরু করে গেলেন মোদি। পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে নির্মম সরকার আখ্যা দিয়ে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন তিনি। কিভাবে পশ্চিমবঙ্গের গরীব মানুষ কেন্দ্রীয় প্রকল্পে থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ এখন নানা সঙ্কটে জর্জরিত। রাজ্যে হিংসা ও অরাজকতা চলছে, মা বোনেরা সুরক্ষিত নয়, যুবরা নিরাশ।
পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে মোদী বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের দুর্নীতির জন্য এখানকার ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। শিক্ষাকে এরা ধ্বংস করেছে। কিন্তু এরা নিজেদের ভুল মানতেই চাইছেন না। উল্টে আদালতকে আক্রমণ করছেন এরা। তৃণমূল সরকার অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। বিজেপি এটা হতে দেবে না বলে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন।
পশ্চিমবঙ্গের মানুষের উপর অত্যাচার চলছে বলেও অভিযোগ করে মোদী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে মারাত্মক দুর্নীত চলছে। এখানকার শাসকদল গরিব মানুষের প্রাপ্য ছিনিয়ে নিতে চাইছে। বাংলা অনেকগুলি সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এখানে গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে রাজনীতি করছে শাসকদল।
জনসভার আগে এক সরকারি অনুষ্ঠান থেকে আলিপুরদুয়ার কোচবিহারে সিটি গ্যাস বিতরণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পের জন্য ১০১৭ কোটি টাকা ব্যয় হবে জানিয়ে বলেন, এতে রাজ্যের আড়াই লাখ পরিবার উপকৃত হবে।