ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকম সহযোগিতায় সরকার পাশে থাকবে বলে আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগ সহনীয় ঘর করে দেয়া হবে। ধারাবাহিক গণতন্ত্র আছে বলেই দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরেছে সরকার। বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড় রেমাল কবলিত এলাকা পটুয়াখালীর কলাপাড়ার সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ মাঠে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকার প্রধান বলেন, দেশে ধারাবাহিক গণতন্ত্র আছে বলেই দুগর্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছি। আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে, যেনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মানুষ রেহাই পায়।
তিনি বলেন, ভেঙে যাওয়া বাঁধ ইতিমধ্যেই পুনঃনির্মাণ শুরু করে দিয়েছি, যাতে বন্যার আগেই নির্মাণ কাজ শেষ হয়। উপকূলে দুর্যোগ সহনীয় ঘর তৈরি করে দেয়া হয়েছে। যেখানে যেখানে আপনাদের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে সেটুকুও নতুন করে তৈরি তৈরি করে দেবো, আমার ওপর আস্থা রাখুন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দল ও সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকবে। সব ধরনের সহযোগিতা দেবে সরকার। অতীতে এমন দুর্যোগ হয়েছে কিন্তু কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। দুর্যোগ আসবেই কিন্তু তা মোকাবিলা করে টিকে থাকার সামর্থ্য অর্জন করতে হবে। সেটাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য।
এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে তিনি পৌর শহরের সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজ মাঠে মঞ্চে উপস্থিত হন।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মে রাত থেকে ২৭ মে শেষ রাত পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল।
এর প্রভাবে ঝড়, বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসে দেশের বিভিন্ন জেলার মতো উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
পটুয়াখালী জেলায় ৩ লাখ ২৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় ২৩৫টি বাড়ি সম্পূর্ণ এবং ১ হাজার ৮৬৫টি আংশিকভাবে ধ্বংস হয়েছে। এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষি খাতে ২৬ কোটি টাকা এবং মৎস্য খাতে ২৮ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়।