পারমাণবিক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে ইরান। এছাড়া ওই প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া প্রস্তাব ইরানের জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এতে বলা হয়, পারমাণবিক চুক্তির বিষয়ে এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ দফা বৈঠক করেও এখনও কোনো সুরাহাতে পৌঁছাতে পারেনি এ দুই দেশ। শনিবার ইরানের তরফে জানানো হয়, ওমানের মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে মার্কিন প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে পেরেছে তারা। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। 

খামেনি বলেছেন, পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে প্রস্তাব দিয়েছে তা ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের আদর্শের পরিপন্থি। ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ যুক্তরাষ্ট্রের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের বিষয়টিতে তার প্রশাসন অনুমতি দেবে না। খামেনি বলেছেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির চাবিকাঠি, যুক্তরাষ্ট্রের এ বিষয়ে মন্তব্য করার কোনো অধিকার নেই। 

তিনি আরও বলেছেন, আমাদের কাছে যদি শত শত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রও থাকে কিন্তু তাতে ইউরেনিয়াম না থাকে তাহলে তা আমাদের কোনো কাজে আসবে না। কারণ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি প্রয়োজন। আমরা যদি এই জ্বালানি দেশীয়ভাবে উৎপাদন করতে না পারি, তাহলে আমাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রের দারস্থ হতে হবে। এতে দেশটি ইরানের ওপর কয়েক ডজন শর্ত জুড়ে দিতে পারে। সোমবার জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থার (আইএইএ) প্রধান রাফায়েল গ্রোসির সঙ্গে কায়রোতে বৈঠক করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। গত সপ্তাহে সংস্থাটির তরফে বলা হয়েছে, ইরান ইউরেনিয়াম মজুদ বৃদ্ধি করেছে। আরেকটি প্রতিবেদনে তেহরানের বিরুদ্ধে সন্তোষজনক সহযোগিতা না করার অভিযোগও করেছে সংস্থাটি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here