News Times BD

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনে ঐকমত্য না হলে গণভোটের আয়োজন করতে হবে : রেজাউল করীম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘রাষ্ট্রের মূলনীতিসহ সংসদের উভয় কক্ষে পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে নির্বাচনের মতো বিষয়ে ঐকমত্য না হলে গণভোটের আয়োজন করতে হবে।’  

শনিবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। সংস্কার ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এই সমাবেশের আয়োজন করে।

সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন করার কোনো বিকল্প নেই। আজকের এই জনসমুদ্র পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন করার পক্ষের জনসমুদ্র।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭২ সালে রচিত সংবিধান ছিল-দেশের মানুষের বোধবিশ্বাস ও গণআকাঙ্ক্ষার বিরোধী। সেই সংবিধান রচয়িতাদের স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান রচনার করার ম্যান্ডেট-ই ছিল না। তারা ভিন দেশের সংবিধান অনুসরণ করেছিলেন। ফলে যা হওয়ার তাই-ই হয়েছে।’

মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘কোনোক্ষেত্রেই কাঙিক্ষত ও সমৃদ্ধ উন্নতি হয়নি। রাজনৈতিক সংস্কৃতি কলুষিত হয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হলো-সংবিধান মেনেই স্বৈরাচার তৈরি হয়েছে। এজন্য আমরা সংস্কারের প্রশ্নে কঠোর, অবিচল ও আপসহীন অবস্থান নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের প্রধান লক্ষ্য ছিল-দেশকে স্বৈরাচারের হাত থেকে রক্ষা করা।
৫৪ বছরের জমা হওয়া জঞ্জাল দূর করা। অভ্যুত্থানের পর সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। আমরা মতামত দিয়েছি। এখন সংস্কার নিয়ে দ্বিতীয় দফা আলোচনা চলছে। আমরা লক্ষ করছি-মৌলিক সংস্কারে কেউ কেউ গড়িমসি করছেন। এটা জুলাইয়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা। স্বৈরাচার তৈরির রাস্তা খোলা রাখা যাবে না। সংস্কার না করে নির্বাচন আয়োজন করে দেশকে আবারও আগে অবস্থায় নিয়ে যাওয়া যাবে না।’

Exit mobile version