News Times BD

‘পুলিশ পরিচয়ে’ খাদ্য পরিদর্শককে অপহরণ, সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার

খুলনায় ‘পুলিশ পরিচয়ে’ অপহরণের সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর সুশান্ত কুমার মজুমদার নামের এক খাদ্য পরিদর্শককে উদ্ধার করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি যৌথ টিম। গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে জেলার তেরখাদা থানার আজোগড়ার একটি স্কুলের সামনের রাস্তা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। তবে কোনো অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

 
এর আগে এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় খুলনা নগরীর সদর থানার ৪ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করে কয়েকজন ব্যক্তি।

পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযানে নামে এবং সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে উদ্ধার করে। কেএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তেরখাদার আজোগড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আব্দুর রহিম বলেন, ‘অপহৃত খাদ্য পরিদর্শককে রাস্তায় পাওয়া যায়। তাকে খুলনা নগর ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ নিয়ে গেছে।’

এর আগে নগরীর ৪ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে রোববার আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার দিকে খাদ্য পরিদর্শক সুশান্ত কুমার মজুমদারকে ‘পুলিশ পরিচয়ে’ অপহরণ করা হয়। পথচারীদের মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিওতে এমনটি দেখা যায়। এছাড়া অপহৃত খাদ্য পরিদর্শকের স্ত্রীর দায়েরকৃত একটি অভিযোগ থেকেও এমনটি জানা যায়। 

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানায় এ অভিযোগটি দায়ের হলে পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অভিযানে নামে এবং তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানওয়ার হোসাইন মাসুম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ।

অপহৃত খাদ্য পরিদর্শকের স্ত্রী মাধবী রানী মজুমদার খুলনা থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, ‘পুলিশের লোক পরিচয়’ দিয়ে মো. রেজা ও বাবু মণ্ডল নামের দুই ব্যক্তি এবং সঙ্গে আরও তিনজন তাকে অপহরণ করে। সুশান্ত কুমার মজুমদার ৪ নম্বর ঘাটের খাদ্য পরিদর্শক ও ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ইতিপূর্বে বাবু মণ্ডল ওই পরিদর্শকের নিকট কয়েকবার টাকা দাবি করে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু খাদ্য পরিদর্শক সুশান্ত কুমার মজুমদার তাকে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান।

Exit mobile version