ভারতে অভিবাসন আইন কঠোর করে মঙ্গলবার লোকসভায় অভিবাসন এবং বিদেশি বিল পেশ করেছে ভারত সরকার। বিলটি উত্থাপন করার সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই দাবি করেন, কাউকে ভারতে আসতে বাধা দেওয়ার জন্য তারা এই আইন আনছেন না। তিনি বলেন, আরও বেশি পর্যটককে স্বাগত জানানো হবে ভারতে। তবে তাদের অবশ্যই অভিবাসন আইন মানতে হবে। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য আইনের বিধানগুলো গুরুত্বপূর্ণ।
জানা গিয়েছে, পাসপোর্ট (ভারতে প্রবেশ) আইন, ১৯২০; বিদেশি নিবন্ধন আইন, ১৯৩৯; ফরেনার্স অ্যাক্ট, ১৯৪৬ এবং অভিবাসন ( দায়বদ্ধতা) আইন, ২০০০, এই চারটি আইনকে বাতিল করে নতুন আইন হচ্ছে। তবে নতুন আইনে নানা কঠোর বিধান রাখা হয়েছে। ইমিগ্রেশন অফিসারদের বিনা পরোয়ানাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, কোনও বিদেশি যদি ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও ভারতে থেকে যান, তাহলে তাঁর তিনবছর পর্যন্ত জেল, তিন লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে। দালালদের ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। অনুপ্রবেশকারীদের জন্য কারাবাস ও জরিমানার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে পাঁচ বছর কারাবাস, পাঁচ লাখ রুপি জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে এই প্রস্তাবিত আইনে।
নিত্যানন্দ রাই বলেন, ‘যেহেতু ভারত অর্থনৈতিকভাবে ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে, সরকার চায় যাতে আরও বেশি সংখ্যক পর্যটক এখানে আসে। আমরা বিষয়টি নিশ্চিত করতে পর্যটকদের সুবিধা প্রদান করছি। তবে দেশের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়াও সরকারের দায়িত্ব।’ নতুন এই বিল অনুযায়ী, কোনও বিদেশি যদি ভারতের হাসপাতাল এবং বিশ্ববিদ্যালয় সহ শিক্ষা ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলিতে থাকে, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সেই বিষয়ে প্রশাসনকে জানাতে হবে। এর পাশাপাশি কোনও বিদেশি যদি কারও বাড়িতে থাকেন, তাহলে সেই বাড়ির মালিককে সেই বিষয়ে অভিহিত করতে হবে প্রশাসনকে। এই বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পর তা লঙ্ঘন করলে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।