সর্বশেষ
[glt-translator]
Home » জাতীয় » মন্ত্রিত্ব কোনো অর্জন না পাবলিক সারভেন্টের দায়িত্ব মাত্র’

মন্ত্রিত্ব কোনো অর্জন না পাবলিক সারভেন্টের দায়িত্ব মাত্র’

সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন দেশের স্বনামধন্য নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এই নির্মাতার উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পরই তার পুরোনো কিছু স্ট্যাটাসকে টেনে এনে তাকে আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ তকমা দিচ্ছেন অনেকেই। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন ফারুকী নিজেই। গত মঙ্গলবার রাতে ফেসবুকে দীর্ঘ এক পোস্ট দিয়ে আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে তার স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেন ফারুকী। এতে তিনি জানান, ২০১২ সাল থেকেই এই জালিম সরকারের পতন চাইতেন তিনি। ফারুকী লিখেন, ঘুণাক্ষরেও যা আগে ভাবি নাই এখন আমাকে সেটাই করতে হচ্ছে। আমি মাত্র দুই দিন হলো কাজ করছি। আমার মন্ত্রণালয়ে সহকর্মীদের মাঝে এই ধারণা দিতে পেরেছি যে, আমরা কিছু দৃশ্যমান পরিবর্তন ঘটাতে চাই। যেটা স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদে আমাদের সংস্কৃতি কর্মীদের কাজে আসবে। দায়িত্বটা নেয়ার পর আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে করার চেষ্টা করছি। কিন্তু এরমধ্যে মুখোমুখি হতে হয়েছে এক অবিশ্বাস্য অভিযোগের! আমি নাকি ফ্যাসিস্টের দোসর! যেই ফ্যাসিস্টকে তাড়ানোর জন্য জীবনের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাশে দাঁড়ালাম ১৬ই জুলাই থেকে, অল আউট অ্যাটাকে গেলাম এটা জেনে যে, ফ্যাসিস্ট হাসিনা টিকে গেলে আমার জন্য অপেক্ষা করছে মৃত্যু অথবা জেল, আমি তারই সহযোগী? তিনি বলেন, শাহবাগে আন্দোলন যখন শুরু হয় আর সবার মতো আমিও ভেবেছিলাম এটা নির্দলীয়। যে কারণে আমার সব পোস্টে এটাকে ঠেলে ‘রাষ্ট্র মেরামত’ এজেন্ডার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু কিছুদিন পরেই যখন বুঝে যাই, তখনই লিখি ‘কিন্তু এবং যদির খোঁজে’। যে কিন্তু এবং যদি শাহবাগ নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। এই নির্মাতা বলেন, আমি তো কোনো বিপ্লবী নই। ছিলাম না কোনো কালে। আমি ফিল্মমেকার। ঘটনাচক্রে এবং আল্লাহর রহমতে মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। আমি আমার সেই পরিচয়েই গর্বিত। আমি মারা গেলে আমাকে ফিল্মমেকার হিসেবেই মনে রাখা হবে, মন্ত্রী হিসেবে না। ফলে মন্ত্রিত্ব আমার কাছে কোনো অর্জন না, পাবলিক সারভেন্টের দায়িত্ব মাত্র। আমি এটা ফাইনালি স্বীকার করেছি, নিজের ফিল্মের বাইরেও আমার দেশকে কিছু দেয়ার ক্ষমতা আল্লাহ দিয়েছে- এটা বিশ্বাস করেছি বলে। আমার মনে হয়েছে, জীবনের এই পর্যায়ে এসে নিজের লাভ-ক্ষতি না ভেবে এই ক্ষমতা দেশের কাজে লাগাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *