রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার নিয়ে বিলম্ব করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা বস্তুনিষ্ঠ নয় জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। এসব মামলা প্রত্যাহারে সহযোগিতা চেয়ে সরকার।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, এ ধরনের মামলা প্রত্যাহারে আইন উপদেষ্টার সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গত ২২শে সেপ্টেম্বর গঠিত হওয়ার পর থেকে নিয়মিত সভায় করছে।
এসব সভায় মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত জেলা পর্যায়ের কমিটি এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পাঠানো তালিকা ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হচ্ছে।

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলও ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দ্রুত মামলা প্রত্যাহারের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের সব মামলার এজাহার এবং অভিযোগপত্র আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির কাছে দাখিলের অনুরোধ করা হয়েছে। কমিটি এ পর্যন্ত ১৬টি সভায় ১১ হাজার ৪৪৮টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে এবং এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মামলা প্রত্যাহারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর আরও তালিকা দেয়ার সুযোগ রয়েছে জানিয়ে তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, বিএনপি চলতি বছরের ১০ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার এবং জামায়াতে ইসলামী এ বছরের ২৭শে এপ্রিল এক হাজার ২০০টি মামলার তালিকা দিয়েছে।
এসব মামলার মধ্যে থেকে প্রায় অর্ধেক ইতিমধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে বলে জানানো হয়েছে তথ্যবিবরণীতে।

দুটি রাজনৈতিক দলের প্রেরিত তালিকার সঙ্গে মামলা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রাদি (এজাহার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশিট) প্রেরণ না করায় অন্যান্য মামলা প্রত্যাহারে বিলম্ব হচ্ছে। অন্যদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ গত ২০শে মে ৪৪টি মামলা প্রত্যাহারের তালিকা প্রদান করেছে।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অন্যান্য কারণে রাজনৈতিক নেতাকর্মী, নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘হয়রানিমূলক’ সব মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করার জন্য দুইটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। এর মধ্যে একটি জেলা পর্যায়ের কমিটি, আরেকটি মন্ত্রণালয়ের। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চার সদস্যের জেলা কমিটিতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন পুলিশ সুপার (মহানগর এলাকার জন্য পুলিশের একজন ডেপুটি কমিশনার), পাবলিক প্রসিকিউটর (মহানগর এলাকার মামলাসমূহের জন্য মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর)।
আইন উপদেষ্টার নেতৃত্বে মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি ছয় সদস্যের। এই কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here