বিংশ শতাব্দীর প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ও বিশ্বভারতীর দ্বিতীয় আচার্য অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 
শান্তিনিকেতনের বাসভবনটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। সম্পত্তিটির বর্তমান মালিক বোলপুর পুরসভার নিষেধ সত্ত্বেও স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় বাড়িটিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে দিয়েছে। এই ঘটনায় প্রবল আলোড়ন তৈরি হয়েছে সাংস্কৃতিক মহলে। “ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং হিন্দু সাংস্কৃতিক পরিচয়ের উপর আক্রমণ” বলে অভিহিত করেছে বিজেপি। 

অবনীন্দ্রনাথ ছিলেন কিংবদন্তি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভ্রাতুষ্পুত্র। ভারতীয় শিল্পকলার এক অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি ছিল শান্তিনিকেতনে। তার বাসস্থান ছিল বলে এলাকাটিকে বলা হয় অবনপল্লী। তার পুত্র আলোকেন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে সেই বাড়িটি তৈরি করেছিলেন। সেখানে  শিল্পী নিজেই থাকতেন।পরবর্তীতে ঠাকুর পরিবার সম্পত্তিটি বিক্রি করে দেয়। 

বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সমাজ মাধ্যমে এক পোষ্টে লিখেছেন, এটি কেবল একটি স্থাপনার উপর আক্রমণ নয়। এটি ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং হিন্দু সাংস্কৃতিক পরিচয়ের উপর আক্রমণ। তিনি লিখেছেন, যিনি আমাদের ভারত মাতার প্রতীকী চিত্রকর্ম দিয়েছেন এবং আমাদের জাতীয় চেতনার দৃশ্যমান পরিচয় সংজ্ঞায়িত করতে সাহায্য করেছেন তার বাসস্থান তথাকথিত উন্নয়নের নামে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে। আজ তার ঐতিহ্য মুছে ফেলা হচ্ছে। “তিনি আরও যোগ করেন, বোলপুর পৌরসভা ঐতিহাসিক স্থাপনাটি না ভাঙার নির্দেশ জারি করেছিল, কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন তাও ভাঙ্গার কাজ চালিয়ে যায়। সোমবার বাড়িটি সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here