News Times BD

‘সংসদ নির্বাচনের আগে আরেকটা ‘নির্বাচন’ করার সামর্থ্য সরকার ও ইসির নেই’

সংসদ নির্বাচনের আগে আরেকটা একটা নির্বাচন করার সময় ও সামর্থ্য সরকার বা নির্বাচন কমিশনের নেই বলে মন্তব্য করেছেন করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

সাইফুল হক বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশসমূহ কেন্দ্র করে ঐক্যের পরিবর্তে আরও অনৈক্য দেখা দিয়েছে। ভিন্নমতের বিষয়সমূহ পুরোপুরি বাদ দিয়ে সুপারিশ প্রেরণ করায় কমিশনের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা ও প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এটা অনভিপ্রেত, দুঃখজনক ও বিব্রতকর। কমিশনের সুপারিশে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধনে সরকার যেভাবে সংবিধান সংশোধন আদেশ প্রদানের কথা বলা হয়েছে, তাও পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। 

তিনি বলেন, এই ধরনের কোন ক্ষমতা, এখতিয়ার বা মান্ডেট অন্তর্রর্তী সরকারের নেই। এই ধরনের উদ্যোগ হবে প্রকারান্তরে সংবিধান অস্বীকার করার সামিল। এছাড়া সংবিধান সংশোধনের এই ধরনের আদেশ এক ভয়ঙ্কর নজিরও সৃষ্টি করবে। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে সংবিধান সংশোধনে এই উদাহরণকে ব্যবহার করার আশঙ্কা থাকবে। এই ধরনের পদক্ষেপ পরোক্ষভাবে বরং কতৃত্ববাদী শাসনের রাস্তা খুলে দিতে পারে।

সাইফুল হক বলেন, ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ‘তীরে এসে তরি না ডোবাতে’ সরকার ও রাজনৈতিক দলসমূহের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। এখন সরকারের একটি ভুল সিদ্ধান্ত বিরাট বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। জুলাই সনদ, গণভোট ও ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে দ্রুত পদক্ষেপ নেবার আহ্বান জানাচ্ছি। তবে এমন কোন পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ হবে না, যা টেকসই করা যাবে না।

তিনি বলেন, গণভোটের প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে বিপুল অধিকাংশ দল আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট অনুষ্ঠানে মতামত দিয়েছিল। বাস্তবে গণভোটের প্রশ্নে এর অন্যথা হবার সুযোগ নেই। তাছাড়া জাতীয় নির্বাচনের আগে আর একটা নির্বাচন করার সময় ও সামর্থ্য সরকার বা নির্বাচন কমিশনের নেই। আর কোন কারণে গণভোটে ভোট প্রদানের হার স্বল্প হলে তা রাজনৈতিক দিক থেকে বিরাট বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, কেন্দ্রীয় সদস্য সিকদার হারুন মাহমুদ প্রমুখ।

Exit mobile version