শুরু থেকে শেষ, আক্রমণে দাপট দেখালো বাংলাদেশ। একের পর এক সুযোগও তৈরি হলো তাতে, কিন্তু সুযোগগুলো হাতছাড়া করলো ফরোয়ার্ডরা! সেখানে তুলনামূলক কম সুযোগ পেয়েও জোড়া গোল করলো সিঙ্গাপুর। বাংলাদেশ এক গোল শোধ করলেও পরে আর ম্যাচে ফিরতে পারলো না। শেষ পর্যন্ত সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হেরেই মাঠ ছাড়লো হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।

জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে সিঙ্গপুরের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই সিঙ্গাপুরের রক্ষণে দাপট দেখায় বাংলাদেশ। বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগও তৈরি হয়। তবে কোনোটিই কাজে লাগানো যায়নি। সুযোগ বুঝে সিঙ্গাপুরও আক্রমণে ওঠে। তবে তাদের আক্রমণ বাংলাদেশের রক্ষণ বেশ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছে।

২৬তম মিনিটে দারুণ একটি ক্রস দেন রাকিব, তবে সেটা কাজে লাগাতে পারেননি কাদিম শাহ। ২৯তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পায় সিঙ্গাপুর। লম্বা ক্রস দারুণভাবে নামান দলটির স্ট্রাইকার একসান ফান্দি। তবে তার দুর্বল শট সহজেই প্রতিহত করেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক মিতুল মার্মা। ৩৪তম মিনিটে কাদিমকে সিঙ্গাপুরের রায়হান স্টুয়ার্টস ফাউল করলে ডি বক্সের সামনে ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। হামজার নেওয়া শট অল্পের জন্য গোলপোস্টের উপর দিয়ে উড়ে যায়।

৪০তম মিনিটে শমিত ডিফেন্স চেড়া পাস দেন ফাহমিদুলকে। সিঙ্গাপুরের এক ডিফেন্ডারকে ড্রিবলিং করলেও গোলে শট নিতে পারেননি তিনি। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে গোল হজম করে বাংলাদেশ। থ্রো থেকে উড়ে আসা বল মিতুল ভালো করে ক্লিয়ার করতে পারেননি। জটলার মধ্যে থেকে গোল করেন সন উইংয়াং।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। রাকিবের ক্রসে পা লাগাতে ব্যর্থ হন বদলি হিসেবে নামা শাহরিয়ার ইমন। প্রথমার্ধের মতো এবারও শমিত শোম একের পর এক সুযোগ তৈরি করেন। তবে এবার সিঙ্গাপুরের আক্রমণও সমানতালে সামলাতে হয় বাংলাদেশের রক্ষণকে। ৫৭তম মিনিটে শুয়ে পড়ে দারুণ একটি শট প্রতিহত করেন অধিনায়ক তপু বর্মন। তবে পরের মিনিটেই সিঙ্গাপুরের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুন করেন ফান্দে। দ্বিতীয় গোল হজম করার পর যেন কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল। আচমকাই আক্রমণে ধার কমে যায়। ৬৭তম মিনিটে ১ গোল শোধ করে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান রাকিব। হামজার পাস থেকে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। 

এক গোল শোধ করেই যেন জেগে ওঠে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। এরপর দ্রুত আরও কয়েকটি আক্রমণ করে স্বাগতিকরা। ৮২তম মিনিটে মোরসালিনের কর্ণার থেকে হেড পেলেও সেটা গোলে রাখতে পারেননি জনি। এ সময় টানা ৪টি কর্ণার পায় বাংলাদেশ। একটাও কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশের ফুটবলাররা। ম্যাচের শেষদিকে বেশিরভাগ সময় বল সিঙ্গাপুরের রক্ষণেই ছিল। ৭ মিনিট অতিরিক্ত সময় খেলা হয়। ৯১তম মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে থেকে আকাশে উড়িয়ে মারেন মুজিবর রহমান জনি। ৯৬তম মিনিটে হামজার একটি শট কাছ দিয়ে গেলে আক্ষেপে পুড়তে হয় স্বাগতিক ডাগআউটকে। ৭ মিনিটের অতিরিক্ত সময় গিয়ে দাঁড়ায় ১১ মিনিটে। ১০১তম মিনিটে বাংলাদেশের দারুণ এক হেড গোলপোস্টের উপর দিয়ে বের করে দেন সিঙ্গাপুর গোলরক্ষক। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here