সৌম্য ও তামিম কি পারবেন ধারা বজায় রাখতে

0
24

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে টপ অর্ডার ব্যাটারদের নিয়ে সমস্যা অনেকদিনের। বেশির ভাগ ম্যাচেই ওপেনাররা দলকে ভালো শুরু এনে দিতে ব্যর্থ হন। তবে টুর্নামেন্টের নাম চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হলেই যেন জেগে ওঠেন ওপেনাররা। এখন পর্যন্ত ৬টি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। সেখানে ৫ বারই দলের কোনো না কোনো ওপেনার ছিলেন টাইগারদের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। এবার এই ধারা বজায় রাখার দায়িত্ব সৌম্য সরকার ও তানজীদ হাসান তামিমের। সর্বশেষ ২০১৭ সালে ইংল্যান্ড আয়োজন করে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর। সেবার ৪ ম্যাচে ১টি সেঞ্চুরি আর ২টা ফিফটি করেন তামিম ইকবাল। ৪ ম্যাচে ২৯৩ রান নিয়ে নিজ দলের সর্বোচ্চ আর আসরের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন টাইগারদের সাবেক এই অধিনায়ক। সবার ওপরে থাকা ভারতের শিখর ধাওয়ানের সংগ্রহ ছিলো ৩৩৮ রান আর দুইয়ে থাকা রোহিত শর্মার ৩০৪ রান। বাংলাদেশ দলে তামিমের পরে ছিলেন সাকিব আল হাসান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা সাকিবের ৪ ম্যাচে সংগ্রহ ১৬৮ রান। বাংলাদেশ ওই আসরে প্রথমবারের মতো কোনো আইসিসি টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল খেলে।
২০০৬ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের শীর্ষ রান সংগ্রাহক শাহরিয়ার নাফিস। ৩ ম্যাচে ১ সেঞ্চুরিতে ১৬৬ রান করেন এই ওপেনার। সর্বোচ্চ ইনিংস ছিলো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২৩ রানের। নাফিসে সেঞ্চুরিতে ওই একটা ম্যাচই জিতেছিল টাইগাররা। শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাকি দুই ম্যাচে হারে বাংলাদেশ। এর আগে ২০০৪ সালেও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন একজন ওপেনার, ২ ম্যাচে ৪২ রান করা নাফিস ইকবাল। ব্যতিক্রম শুধু ২০০২ সাল, সেবার মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করা তুষার ইমরান ছিলেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ব্যতিক্রম ছিলো শুধু ২০০২ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। সেবারের হাইয়েস্ট রান গেটার ছিলেন মিডল অর্ডারে ব্যাট করা তুষার ইমরান ও অলক কাপালি। ২ ম্যাচে ২জনই করেন ৪৭ রান। আর ২০০০ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ১ ম্যাচে ৬৩ রান করে দলের সর্বোচ্চ রান স্কোরার হয়ে গেসিলেন জাভেদ ওমর। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ওপেনিং করতে নেমে শেষ পর্যন্ত নট আউট ছিলেন এই ওপেনার। সৌম্য ও তামিমের ওপর এবার ধারা বজায় রাখার দায়িত্ব। তামিম তো বিপিএলের বিষ্ফোরক ফর্ম নিয়েই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে গেলেন। ৪৮৫ রান নিয়ে আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। সৌম্য সরকারও দারুণ ছন্দে আছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও দলকে দারুণ শুরু এনে দেন এই বাঁহাতি ওপেনার। এরপর চোট পড়লেও বিপিএল দিয়ে মাঠে ফেরেন তিনি। শুরুতে অস্বস্তি থাকলেও খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৭৪ রানের দারুণ এক ইনিংস আসে তার ব্যাট থেকে। সবমিলিয়ে দারুণ ছন্দে থাকা সৌম্য ও তামিম ধারা বজায় রাখতে পারলে উপকৃত হবে বাংলাদেশ দল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here