News Times BD

১৫,০০০ কর্মী ছুটিতে, নাসার কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার মুখে

সরকারি অচলাবস্থা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রায় ১৫,০০০ কর্মীকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। যার ফলে বাজেট কাটছাঁট এবং ব্যাপক কর্মী ছাঁটাইয়ের সঙ্গে লড়াই করছে সংস্থাটি। আর এখন সরকারি তহবিলে দেরি হওয়ার কারণে আপাতত তাদের কিছু কাজকর্ম থামানোর কথা ঘোষণা করেছে নাসা। তবে তাদের  একটি প্রচেষ্টা পুরোদমে এগিয়ে চলেছে আর্টেমিস প্রোগ্রাম।

পাঁচ দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো চাঁদের পৃষ্ঠে নভোচারীদের পাঠানোর লক্ষ্যে আর্টেমিস প্রোগ্রামকে সরকারি অচলাবস্থার মধ্যেও অপরিহার্য কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। নাসার নেতৃত্ব এবং আইন প্রণেতাদের একটি টিম স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, তারা চাঁদে চীনের পাদচারণা ঠেকাতে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য আর্টেমিস প্রোগ্রামকে একটি অপরিহার্য বিষয় হিসেবে দেখছে।

নাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক শন ডাফি গত মাসে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছিলেন, চীন ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে চাঁদে যাচ্ছে না। আমেরিকা প্রথমে সেখানে পৌঁছাবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদার উভয়ের জন্য শান্তি রক্ষা করবে।

সম্প্রতি নাসার ওয়েবসাইটে পোস্ট করা একটি নথিতে দেখা গেছে, শাট ডাউনের সময় ৩,০০০ এরও বেশি কর্মী নাসায় কাজ চালিয়ে যাবেন। চলমান কাজের বেশিরভাগই আর্টেমিস টু-কে কেন্দ্র করে আবর্তিত হবে। যা চাঁদের চারপাশে একটি পরীক্ষামূলক মিশন, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই এই যাত্রা শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে নাসার এক্সপ্লোরেশন সিস্টেমস ডেভেলপমেন্ট মিশন ডিরেক্টরেটের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি অ্যাসোসিয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর লাকিশা হকিন্স বলেন, ‘এই মিশনে চারজন নভোচারীর অংশগ্রহণের কথা রয়েছে, তাই প্রকল্পটির কাজ স্পষ্টতই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করি যে নাসার বাকি কাজ বন্ধ হয়ে গেলেও আর্টেমিস টু-এর কাজ আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবো।’

ওয়াশিংটনে এই অচলাবস্থা যত বেশি দিন স্থায়ী হবে, চন্দ্র অভিযান এবং মঙ্গল মিশনের মতো উচ্চাকাঙ্ক্ষী মিশনগুলোর গতি বজায় রাখা নাসার জন্য ততই কঠিন হয়ে উঠবে। কোনো স্পষ্ট সমাধানের সম্ভাবনা না থাকায় নাসা এক কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে কীভাবে রাজনৈতিক অচলাবস্থা সরাসরি বিজ্ঞান এবং মহাকাশ গবেষণাকে প্রভাবিত করতে পারে! আপাতত, সংস্থাটির বিপুল সংখ্যক কর্মী অপেক্ষায় আছেন পরবর্তী ঘোষণার জন্য। তারা নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন শুধু নভোচারী ও মহাকাশযান উভয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। সূত্র: সিএনএন

Exit mobile version