ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ‘মৃত’ ঘোষণা করা এক নবজাতক শুক্রবার সকালে দাফনের প্রস্তুতিকালে নড়েচড়ে উঠেছে। এদিন ভোরে একই হাসপাতালে জন্ম নেয় শিশুটি। জানাযায়, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মালেঙ্গা গ্রামের সন্তান সম্ভাবনা গৃহবধূ শাহিনুরকে তার স্বামী ইয়াসিন মোল্লা গত তিনদিন আগে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এসে ১১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। ওই ওয়ার্ডে শাহিনুর শুক্রবার ভোরের দিকে স্বাভাবিকভাবে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।
জন্মের পরপরই ওই নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে ওই নবজাতককে একটি প্যাকেটে ভরে তার বাবা ইয়াসিনের কাছে হস্তান্তর করে চিকিৎসক বলেন, নবজাতকটি মৃতই জন্ম নিয়েছে। পরে নবজাতককে দাফনের জন্য তিনি কবরস্থানে নিয়ে যান।
ইয়াসিন বসিলা কবরস্থানে দাফনের জন্য দিতে গেলে হঠাৎ নবজাতকটি নড়ে ওঠে। পরে সেখান থেকে তিনি নবজাতকে দ্রুত ঢামেক নিয়ে আসেন।
বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে নবজাতকটি চিকিৎসাধীন আছে। সেখানের চিকিৎসকরা বলেছেন নবজাতের অবস্থা তেমন ভালো না, যেকোনো সময় কিছু ঘটে যেতে পারে।
ইয়াসিন মোল্লা জানান, এটা ছিল তার দ্বিতীয় সন্তান। নয় বছর বয়সী তার আরো একটি কন্যাসন্তান আছে।
তিনি জানান, ঢামেক হাসপাতালে সন্তান জন্মের পরপরই সেখানের লোকজন হ্যান্ড গ্লাভস রাখার একটি খালি বড় প্যাকেটে ভরে নবজাতকটিকে মৃত বলে আমাকে দেন। সেই প্যাকেটটি নিয়েই আমি কবরস্থানে গিয়ে ছিলাম। সেখানে নড়ে ওঠে আমার নবজাতক সন্তান।
এ ব্যাপারে ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. নিলুফার সুলতানা বলেন, তিনি দুই দিনের ছুটিতে আছেন। তবে নবজাতকের বিষয়টি হাসপাতালে পরিচালক স্যার আমাকে অবগত করেছেন। আমি ওয়ার্ডের দায়িত্বে যিনি আছেন তাকে বিষয়টি অবগত করেছি।
এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন জানান, নবজাতকটি জীবিত আছে। সে ভালো আছে ও তার চিকিৎসা চলছে।