জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ এখন অস্থিতিশীল রয়েছে। দেশ এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। কাজেই নির্বাচনের পর সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে- এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। আওয়ামী সরকারের অধীনে অতীতের নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় জনগণ এ নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে শঙ্কিত রয়েছে।’ গতকাল রংপুরে নিজ বাসভবন স্কাইভিউতে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। জাপার কয়েকজন প্রার্থীর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে জিএম কাদের বলেন, এ নিয়ে এত বাড়াবাড়ি কেন বুঝলাম না। এটা খুব স্বাভাবিক ঘটনা। আমরা ১৯৯০ এর পর থেকে যখনই ৩শ’ আসনে প্রার্থী দিয়েছি, তখনই অনেক প্রার্থী সরে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই অভিজ্ঞতা নিতে আসে, পরিচিত হতে আসে। ১৯৯০ সালের পর থেকে ৩০০ আসনে নির্বাচন করার যোগ্যতা জাতীয় পার্টির কখনই ছিল না। বর্তমানে নির্বাচনের মাঠে দু’এক জায়গা বাদে সবখানেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রয়েছে।
তবে সমস্যা হবে নির্বাচনের দিনে। যারা ভোট দিতে আসবে, তারা ভোট দিতে পারবে কিনা সে বিষয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। আর ভোট দেয়ার পর সে ভোট সঠিকভাবে গণনা করা হবে কিনা এ নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। বর্তমান সরকারের অধীনে অতীতের একাধিক নির্বাচনে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে মানুষের মাঝে এমন শঙ্কা রয়েছে। জনগণের মাঝে আস্থাহীনতা রয়েছে এ নির্বাচন নিয়ে। তিনি বলেন, সব নির্বাচনে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মারপিটের ঘটনা ঘটেই চলেছে। এখন এটা আমাদের কাছে অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। তবে অস্বাভাবিক এটা যে, দেশের পরিবেশটা এমন হয়েছে যে আওয়ামী লীগ সবকিছু দখলে রেখেছে। কাউকে মাঠে নামতে দিচ্ছে না। আর এই পরিবেশটা দীর্ঘদিনের। তাই জনসাধারণের মনে অল্পতেই এরকম চিন্তা আসে যে আওয়ামী লীগ আবার সব দখল করে নিচ্ছে। তবে আমরা সজাগ রয়েছি। নির্বাচনে আমরা অনেক জায়গায় বাধার শিকার হচ্ছি। এখনই অভিযোগ পেলাম একটি। বগুড়া-২ আসনের প্রার্থী জিন্নাহ সাহেব এখনই টেলিফোন করে জানালো যে, নেতাকর্মীরা প্রচার-প্রচারণায় বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। আমাদের ভোটার-কর্মীদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। তাদের ভোটকেন্দ্রে না যেতে হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে তাদের আইনের আশ্রয় নিতে বলছি এবং তারা আইনি সহায়তা নিচ্ছেন। আশা করি ঠিক হয়ে যাবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, ভাইস চেয়ারম্যান এসএম ইয়াসির, সাংগাঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।