২০১৮ সালের একতরফা নির্বাচনেও প্রথম ২ ঘণ্টায় বরিশালের কেন্দ্রগুলোতে ছিল ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। গুঞ্জন ছিল সে সময় ডামি ভোটারদের দিয়ে লাইন বড় করা হয়েছিল। কিন্তু এবারের নির্বাচনে সেই ডামি ভোটারও নেই। প্রায় প্রতিটা কেন্দ্র শূন্য। প্রথম ঘণ্টায় কোথাও ১০টি, কোথাও ৮টি আবার কোথাও ১২টি ভোট পড়েছে। এই ভোটগুলো দেয়ার পর আর কোনো ভোটারকে দেখা যাচ্ছে না ঐসব কেন্দ্রে। তবে বাইরে রয়েছে ভোটার আনার জন্য বিভিন্ন প্রতীকের প্রশিক্ষিত কর্মী। তারা ছুটোছুটি করছেন ভোটার আনতে।
সকাল সোয়া ৮টা। ৭নং ওয়ার্ডের মাতৃমন্দির স্কুল কেন্দ্র। এ কেন্দ্রের প্রবেশপথ এতটাই সংকীর্ণ যে পাশাপাশি ২জন ভোটর প্রবেশ করতে পরে না।
প্রতিবছরই এ কেন্দ্রে নারী ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। কিন্তু এবার এই কেন্দ্র ঢুকে একটু চমকে যেতে হলো। কেন্দ্রের বাইরে বাঁশ দিয়ে ভোটারদের লাইনে দাঁড়ানোর যে সারি তৈরি করা হয়েছে সেখানে দুজন আনসার সদস্য ছাড়া কেউ নেই।
এরপর ২ নং ওয়ার্ডে কাউনিয়া বালিকা বিদ্যালয় ও মানিক মিয়া স্কুল। এসব কেন্দ্রেও একই অবস্থা। বাইরে নৌকার এজেন্টদের ছুৃটোছুটি। ভিতরে ফাঁকা।
বরিশাল শহরের প্রাণকেন্দ্র সদর রোড। এখানে অশ্বিনী কুমার টাউন হল কেন্দ্র। সাংবাদিক বা পর্যবেক্ষকরা এখানেই প্রথমে আসেন। এ ভোট কেন্দ্রটিতে প্রতি নির্বাচনে ভোটারদের দীর্ঘ সারি থাকে। অথচ সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রায় জনমানবশূন্য ছিল এ কেন্দ্রটি। এ কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার সঞ্জয় কুমার হালদার জানান, প্রথম ১ ঘণ্টায় এ কেন্দ্র ১২টি ভোট কাস্ট হয়েছে।