নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টার্স থেকে ঢাকার দূরত্ব ১১ হাজার ২০৬ কিলোমিটার। সেখান থেকে দুটো ফ্লাইট পরিবর্তন করে সোমবার গভীর রাতে ঢাকায় পৌঁছান বাবর আজম। সকালে উঠেই মাঠে চলে আসেন, মিনিট কয়েক নকিং। ব্যাস এর পরই মাঠে নামতে হয় এই পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে। আর মাঠে নেমেই রংপুর রাইডার্সকে আসরের প্রথম জয় এনে দিলেন বাবর। বোলাররা সিলেটকে অল্প রানে বেঁধে রাখলেও টপ আর মিডল অর্ডার ব্যাটারদের জন্য সেটাও একপর্যায়ে কঠিন হয়ে পড়ে রংপুরের জন্য। তবে বাবর একপ্রান্ত আগলে রেখে ঠিকই দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। গতকাল বিপিএলের চলতি আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৪ উইকেটে হারায় রংপুর রাইডার্স। দুই ম্যাচ খেলে আসরে এটা তাদের প্রথম জয়। আর সমান ম্যাচে সবকটিই হার সিলেটের।
সিলেটের দেয়া ১২১ রান তাড়া করতে নেমে ৩৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপদে পড়ে রংপুর। এরমধ্যে ইনিংসের সপ্তম ওভারে চার বলের মধ্যে রংপুরের ৩ ব্যাটারকে ড্রেসিংরুমে ফেরত পাঠান সিলেটের শ্রীলঙ্কান স্পিনার দুশান হেমন্ত। আউট হওয়া প্রথম ৬ ব্যাটারের মধ্যে ৩ জনই ফেরেন খালি হাতে। আর সর্বোচ্চ ৮ রান করেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। এরপর আফগান অলরাউন্ডার আযমতউল্লাহ ওমরজাইকে নিয়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়েন পাকিস্তানি বাবর আজম। দু’জনের জুটিতে শুরুর চাপ কাটিয়ে ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরে রংপুর। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ওমরজাই। মূলত দু’জন সমান তালে ব্যাটিং করায় কেউই বাড়তি চাপ অনুভব করেননি। শেষ পর্যন্ত বাবর ও ওমরজাইয়ের ৮৬ রানের জুটিতে ১০ বল বাকি থাকতেই জয় পায় রংপুর। ৪৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করা বাবর শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৪৯ বলে ৫৬ রানে। যেখানে ছিল ৬ চার। আর ওমরজাইয়ের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৭ রান। এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে সিলেটও শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। ৩৯ রানেই ফিরে যান ৫ ব্যাটার। তিন নম্বরে নামা মাশরাফি করেন ৭ বলে ৬ রান। প্রথম ৫ জনের মধ্যে শুধু নাজমুল হোসেন শান্ত দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছান। তার ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ১৪ রান। হাসান মুরাদকে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে পয়েন্টে রপিন মণ্ডলের দুর্দান্ত ক্যাচ হয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর সিলেটের দুই বিদেশি বেনি হাওয়েল ও বেন কাটিং মিলে প্রতিরোধ গড়েন। তাদের ব্যাটে শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে সিলেট। একপর্যায়ে রানের চাকাও সচল হয়।
শুরুর বিপর্যয়ের পরও কাটিং আর হাওয়ালের জুটিতেই লড়াকু স্কোরের আশা ছিল সিলেটের। যদিও তাদের কেউই শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করতে পারেননি। ইনিংসের ১৮তম ওভারে দলীয় ১০৮ রানে কাটিং আউট হলে ভাঙে ৬৯ রানের জুটি। ফেরার আগে ৩১ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় কাটিং করেন ৩১ রান। আর ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হওয়া হাওয়েলের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ৪৩ রান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২০ রানে থামে সিলেটের ইনিংস।