সিরিয়ার সঙ্গে জর্ডান সীমান্তে মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। ওই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের তিনজন সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েক ডজন মানুষ। এ হামলার জন্য ইরান সমর্থিত মিলিট্যান্ট গ্রুপগুলোকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রতিশোধ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, আমরা এর জবাব দেবো। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
৭ই অক্টোবর ইসরাইলে রকেট হামলা চালায় গাজার যোদ্ধাগোষ্ঠী হামাস। তারপর এটাই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের সেনা নিহতের ঘটনা। ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অন্য ঘাঁটিগুলোতেও হামলা হয়েছে। কিন্তু রোববারের হামলার আগে কোনো সেনা সদস্য হতাহত হয়নি।
এই হামলার জন্য দায়ী কে, তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। জো বাইডেন বলেছেন, এই হামলার সঙ্গে জড়িত সবাইকে জবাবদিহিতায় আনবে যুক্তরাষ্ট্র এবং তা করা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের পছন্দমতো।
অন্যদিকে জো বাইডেনের দুর্বলতার কারণে সেনাদের বিরুদ্ধে এমন হামলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট, রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্প।
জর্ডানে এই হামলায় ইরান সমর্থিত মিলিট্যান্টদের দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেন। কিন্তু জোর দিয়ে ইরান তা প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা’কে তেহরানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, এই অঞ্চলে যে বাস্তবতা তার মোড় ঘুরানোর জন্য সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্যে এসব অভিযোগ করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউস বলেছে, রোববার সকালেই ওই হামলা সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে অবহিত করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ও অন্য কর্মকর্তারা। এরপর বাইডেন একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তাতে বলেছেন, জিল বাইডেন এবং আমি নিহত সেনাদের পরিবার ও বন্ধুবান্ধব এবং পুরো দেশের মানুষের কাছে সমবেদনা জানাচ্ছি। নিহত ওই সেনা সদস্যদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
জো বাইডেন বর্তমানে সাউথ ক্যারোলাইনা সফরে রয়েছেন। তিনি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে কঠিন রাত ছিল এটা। আমরা তিনজন সাহসী যোদ্ধাকে হারিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, ব্রেনে মারাত্মক আহত অবস্থায় যথাসম্ভব দ্রুত সময়ে উদ্ধার করা হয়েছে কমপক্ষে ৩৪ জন সেনা সদস্যকে। তাদের অনেককে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সেনাদের বসবাসের কোয়ার্টারে ড্রোন হামলা করে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড এবং প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, সিরিয়া সীমান্তের কাছে জর্ডানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি ঘাঁটিতে এই হামলা হয়েছে। এটাকে পরে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ‘টাওয়ার ২২’ হিসেবে নামকরণ করেন। ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেন, ১৭ই অক্টোবরের পর ইরাকে এবং সিরিয়াতে মার্কিন ঘাঁটিতে কমপক্ষে ৯৭ বার হামলা হয়েছে।