প্রচারণার পর্দা পড়ে গেছে। রাত পোহালেই পাকিস্তানে অনেক নাটকীয়তা শেষে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই নির্বাচনী প্রচারণায় ইতি ঘটেছে। এদিনই পাকিস্তানের সেনাবাহিনী, রেঞ্জারর্স এবং পুলিশ ফ্লাগ মার্চ করেছে। সারাদেশে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রচারণার শেষ দিন মঙ্গলবার লারকানায় নির্বাচনী প্রচারণার ইতি টেনেছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারপারসন বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। এটি হলো ভুট্টো পরিবারের রাজনৈতিক ঘাঁটি।
অন্যদিকে প্রচারণার শেষ স্থান হিসেবে কাসুরকে বেছে নেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) প্রধান সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। এটি তার ছোটভাই ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সংসদীয় আসন। এদিন লাহোরেও একটি র্যালিকে বক্তব্য রাখার কথা ছিল নওয়াজ শরীফের। কিন্তু তা বাতিল করেন তিনি।
পিপিপি এবং পিএমএলএন যখন নির্বাচনী প্রচারণায় মুখিয়ে ছিল, তখন আরেক বড় দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের (পিটিআই) অবস্থা পুরো আলাদা। একদিকে দলটিকে তাদের ঐতিহাসিক নির্বাচনী প্রতীক ক্রিকেট ব্যাট বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন, অন্যদিকে নানা অভিযোগে জেলে দলটির প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান।
এক বিবৃতিতে নির্বাচন কমিশন সব দলকে নির্বাচনী আইনের ১৮২ ধারা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। এই ধারার অধীনে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে কোনো রকম জনসভা, সমাবেশ কোনো মিটিং, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে সবাইকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। নির্বাচন শেষ হয়ে না যাওয়া পর্যন্ত কোনো রকম জনমত জরিপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই আইনে। তবে ভোট গ্রহণ হয়ে যাওয়ার এক ঘন্টা পরে মিডিয়াকে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সব রাজনৈতিক দল এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদেরকে আচরণবিধির ৪৮ ও ৪৯ ধারা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। এর অধীনে ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রের ৪০০ মিটারের মধ্যে কোনো রকম প্রচারণা চালানো যাবে না। ভোটকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে কোনো নোটিশ, প্রতীক, ব্যানার বা ফ্লাগ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।