এআই সংযুক্ত ১৪২৭ ক্যামেরা বসছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে

হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক আধুনিক প্রযুক্তির আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। মহাসড়কটির ৪৯০টি জায়গায় ১৪২৭টি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। ক্যামেরাগুলোতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) রয়েছে। এটি নেটওয়ার্কের আওতায় পরিচালিত হবে। গতকাল হাইওয়ে পুলিশের সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি’র সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, দু’-এক মাসের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে। প্রধানমন্ত্রী এটা উদ্বোধন করতে পারেন বলে তিনি জানান। এ ক্যামেরার আওতায় এলে ভালো পুলিশিংয়ের পাশাপাশি মহাসড়কও নিরাপদ হবে।
তিনি বলেন, ৩৬টি হাইওয়ে থানা ও ৩৭টি ফাঁড়ি অর্থাৎ মোট ৭৩টি থানা ও ফাঁড়ি রয়েছে। আর জনবল রয়েছে ২৮৬১ জন। আরও প্রায় সমানসংখ্যক হাইওয়ে থানা বা ফাঁড়ি গঠনের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রায় ২২ হাজার কিলোমিটার হাইওয়ে রয়েছে।
কিন্তু হাইওয়ে পুলিশ দেখছে মাত্র ৩ হাজার কিলোমিটার সড়ক। বাকি সড়ক জেলা পুলিশ বা মেট্রোপলিটন পুলিশ দেখছে। হাইওয়েতে কোনো ঘটনা ঘটলে হাইওয়ে পুলিশের দিকে নজর থাকে জনগণের। কিন্তু এটা জানে না যে, ওই খারাপ কাজটি আমাদের আওতায় ঘটেনি। তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবিত জনবল পেলে ৯ কিলোমিটার দেখতে পারবে হাইওয়ে পুলিশ। সৌজন্য সাক্ষাতে হাইওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ক্র্যাবের সভাপতি কামরুজ্জামান খানসহ সংগঠনটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান ক্র্যাব সদস্যদের নানা দিক তুলে ধরেন এবং সামনের কর্মপরিকল্পনার বিষয় নিয়ে হাইওয়ে প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেন।