শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতি শুরু করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তার আগে টেস্ট খেলতে অনীহা প্রকাশ করেছেন তাসকিন আহমেদ। বোর্ডকে দিয়েছেন চিঠি। গতকাল টেস্ট খেলতে না চাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করলেন টাইগার পেসার।
চোটের সঙ্গে লড়াই করে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেছেন তাসকিন আহমেদ। এরপর বিসিবির মেডিকেল বিভাগের পরামর্শে বিশ্রামে যান তিনি। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ও নিউজিল্যান্ড সফরেও খেলা হয়নি তার। রিহ্যাবের পর বিপিএল দিয়ে মাঠে ফেরেন তিনি। পুরোপুরি সুস্থ না হওয়াতেই মূলত টেস্ট ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে চাইছেন তাসকিন। গতকাল দুর্দান্ত ঢাকা-সিলেট স্ট্রাইকার্স ম্যাচ শেষে তাসকিন বলেন, ‘বিশ্বকাপের সময় যখন সবশেষ এমআরআই করেছিলাম, আমার কাঁধে তখন ৪৫ শতাংশ টিয়ার (পেশি ছিঁড়ে যাওয়া) ছিল। এখনো ম্যানেজ করে করে খেলতে হচ্ছে।
আল্লাহ না করুক আরেকটু বড় টিয়ার হলে সার্জারি বাধ্যতামূলক। সার্জারি করলে আট মাস থেকে এক বছর বাইরে থাকতে হবে। আবার মাঠে ফিরে ফর্ম কেমন হবে না হবে, অনেক বিষয় আছে।’
তাসকিন বলেন, ‘আমি বোর্ডকে জানিয়েছিলাম যে, আমাকে যদি টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরত রাখা যায়… যদি আগামীতে উন্নতি হয়, তাহলে চেষ্টা করব (টেস্ট খেলার)। এজন্য বলেছিলাম টেস্ট ক্রিকেটে আমাকে যেন আপাতত বিবেচনা না করা হয়। মেডিকেল দল বা সবার কাছেই প্রমাণ আছে, লুকানোর কিছু নেই।’
এ ব্যাপারে বিসিবির প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল, তা জানিয়ে তাসকিন বলেন, ‘বিসিবি বলেছে বিপিএলের পর বসবে। কোচ এলে বোর্ডের সবাই মিলে বসবে। তখন কথা বলবে।’
বুধবার নিয়মিত অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনের চোটে বিপিএলে দুর্দান্ত ঢাকার অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হলো তাসকিনের। নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে টাইগার পেসার বলেন, ‘অধিনায়কত্বের প্রথম অভিজ্ঞতাটা ভালোই ছিল। মাঠে অনেক কিছুতে মনোযোগ দিতে হয়েছে। তাড়াতাড়ি চেঞ্জ করতে হয়েছে, নিজের তাড়াতাড়ি রেডি হতে হয়েছে। ভিন্ন অভিজ্ঞতা ছিল। প্রথম ১০ ওভার আশাবাদীও ছিলাম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে হেরে গেলাম। এটাই খারাপ লাগছে।’ বুধবার মিরপুরে বিপিএলে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের কাছে ৫ উইকেটে হারে তাসকিনের দুর্দান্ত ঢাকা।