সর্বশেষ
Home » অন্যান্য » অনুমতি ছাড়া তালা ভেঙে জোরপূর্বক বাড়িতে প্রবেশের অভিযোগ হারিছকন্যা সামিরার

অনুমতি ছাড়া তালা ভেঙে জোরপূর্বক বাড়িতে প্রবেশের অভিযোগ হারিছকন্যা সামিরার

অনুমতি ছাড়া তালা ভেঙে প্রয়াত হারিছ চৌধুরীর বাড়িতে প্রবেশের অভিযোগ করেছেন তার কন্যা ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরী। জানিয়েছেন, কানাইঘাটের দর্পনগরে নিজ পৈতৃক ভূমিতে হারিছ চৌধুরী প্রায় ২০ বছর আগে নিজের অর্থায়নে একটি বাড়ি তৈরি করেছিলেন। জীবদ্দশায় তিনি বাড়িতে গেলে ওই বাড়ির দুটি কক্ষে থাকতেন। তার মৃত্যুর পর মেয়ে সামিরা পিতার স্মৃতি হিসেবে এ দুটি কক্ষকে সংস্কার করেন। লন্ডনে যাওয়ার আগে পিতার স্মৃতিবিজড়িত অনেক জিনিসপত্র সেখানে রেখে যান। বর্তমানে ঘরের দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছেন সামিরার চাচাতো ভাই রাহাত চৌধুরী। দর্পনগরের বাড়িতে হারিছ চৌধুরীর পিতার তৈরি পৈতৃক ভিটে ও ঘর রয়েছে। সামিরার চাচা ও ফুফুরা ওই ঘরগুলো ব্যবহার করেন।

গত বুধবার দুপুরের দিকে সামিরার অনুমতি ছাড়াই ওই কক্ষের তালা ভেঙে তার কয়েকজন স্বজন প্রবেশ করেন। তারা এখন সেখানে অবস্থান করছেন। এ কাজে চাচা আশিক চৌধুরীর ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ করেন সামিরা।
এর আগে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে আশিক চৌধুরীর বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছিলেন সামিরা। জিডির তদন্ত চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে কানাইঘাট পুলিশ।
বাড়ির দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা রাহাত চৌধুরী জানান, বুধবার স্বজনরা এসে হারিছ চৌধুরীর তৈরি করা দুটি ঘরের চাবি চাইলে রাহাত দিতে অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে সামিরার অনুমতি নিতে হবে বলে জানান। এই অবস্থায় জোরপূর্বক ঘরের তালা ভেঙে মকবুল চৌধুরী ও রুনা চৌধুরী ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে সেখানে আসেন আশিক চৌধুরীও। এ ঘটনায় তিনি ৯৯৯-এ ফোন দিলে কানাইঘাট থানা পুলিশের এসআই দেবাশীষ সূত্রধর ঘটনাস্থলে যান। তিনি গিয়ে সার্বিক বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে চলে আসেন এবং ফোনদাতা রাহাত চৌধুরীকে কোনো অভিযোগ থাকলে থানায় যোগাযোগ করতে বলেন।
এ বিষয়ে কানাইঘাট থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সর্দার মানবজমিনকে বলেন, পুলিশ সরজমিন গিয়ে পরিদর্শন করেছে। তালা ভাঙাসহ কোনো জিনিসপত্র খোয়া গেলে এ ব্যাপারে লিখিতভাবে পুলিশকে জানাতে হবে। পুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত করবে।

এদিকে ব্যারিস্টার সামিরার অভিযোগের বিষয়ে আশিক চৌধুরী জানিয়েছেন, যে ঘরে ডা. মকবুল চৌধুরী উঠেছেন সেটি হারিছ চৌধুরীর একার ঘর নয়। এটি তাদের পিতার ঘর। এজন্য তার ভাই ডা. মকবুল চৌধুরী এ ঘরে উঠেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *