কানাডার প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিনই তিনি তার পাগল করে দেওয়া কাজ ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবেন। ফরাসি ভাষার প্রচারমাধ্যম রেডিও-কানাডাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি। শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। শুক্রবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রুডো তার ব্যক্তিগত ত্যাগের কথাও তুলে ধরেন।
২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে কানাডার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই নির্বাচন উপলক্ষে এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে ডানপন্থি কনজারভেটিভদের তুলনায় ট্রুডোর লিবারেল পার্টি অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ট্রুডোর প্রতি ভোটারদের আগ্রহও দিন দিন কমছে।
২৪ মিনিটের ওই সাক্ষাৎকারে ট্রুডো বলেন, জনপ্রিয় হওয়ার জন্য তিনি রাজনীতিতে আসেন নি। ব্যক্তিগত লাভের জন্যও ক্ষমতায় আসেন নি। তিনি ক্ষমতায় এসেছেন জনগণের সেবা করতে। আবাসনের সামর্থ্য ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের মতো সমস্যা নিয়ে হতাশ জনগণের ট্রুডো সরকারের প্রতি অসন্তোষ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি হয়ত ক্ষমতা ছাড়ার কথা ভাবছেন বলে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে সাক্ষাৎকারে ৫২ বছর বয়সী সুদর্শন এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার মানুষ তিনি নন।
ট্রুডোর দলের জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ায়; সাক্ষাৎকারে তাকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে হাসতে হাসতে তিনি বলেন, প্রতিদিনই সরে যাওয়ার কথা ভাবি। কারণ তার কাজকে পাগলের কাজ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ২০১৫ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসেন ট্রুডো।