মৌলভীবাজার কারাগারে আদালতের নির্দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার হাজতির সঙ্গে মামলার ভুক্তভোগী নারীর বিয়ে সম্পন্ন করেছেন কারা কর্তৃপক্ষ। ১২ বছরের প্রেমকে বলি দিয়ে পালিয়ে গিয়েও রক্ষা পেলেন না প্রেমিক আশিষ বাউরি। আর প্রেমিকার দায়ের করা মামলায় তাকে যেতে হয় কারাগারে। প্রেমিকা ভুক্তভোগীকে থাকতে হয় পরিবারে। কারাগারে এমনই অভিনব এক বিয়ে অনুষ্ঠিত হলো। নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার হাজতির সঙ্গে একই মামলার ভিকটিমের এই বিয়েটি হয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে। আলোচিত এই বিয়ে এলাকায় কৌতুহলের সৃষ্টি করেছে। মৌলভীবাজার রাজনগর উপজেলার ইন্দানগর চা বাগানের সদানন্দ বাউরির ছেলে আশিষ বাউরি ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলায় বিচারাধীন অবস্থায় কারাগারে আছেন। এই মামলার ভিকটিম একই উপজেলার একই চা বাগানের কুঞ্জুমালের সঙ্গে বুধবার দুপুরে কারাগারে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় জেল সুপার, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধিসহ উভয় পক্ষের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন হাইকোর্টের নির্দেশে ভিকটিম ও উভয় পরিবারের সম্মতিতে সনাতন রীতি অনুযায়ী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তারা। ভিকটিম কুঞ্জুমালের বলেন, মামলার পর আমাদের উভয় পক্ষের সম্মতিতে এই বিয়ে হয়েছে। এখন সবার কাছে একটাই চাওয়া যেন আমাদের দাম্পত্য জীবন সুখি হয়। কুঞ্জুমালের ভাই বলেন, এখন তাড়াতাড়ি যেন মামলাটির নিষ্পত্তি হয় সেজন্য আমরা আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকবো। মৌলভীবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, হাইকোর্টের নির্দেশে আশিষ বাউরি ও ভুক্তভোগীর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে জেলা কারাগারে। এসময় বরের পরিবার ও ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সনাতন ধর্মীয় রীতি অনুসারে তাদের বিয়ে হয়েছে। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার শাওন মজুমদার সুমন জানান, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি এই বিয়েতে উপস্থিত হয়েছেন। জেল সুপারসহ অন্য প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে দুজনের বিয়ে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আশা করি তারা ভবিষ্যতে সুখী হবে, ভালো থাকবে। যেহেতু মামলাটি এখনো বিচারাধীন আছে এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আদালত থেকে পাওয়া যাবে।