বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তপথে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির আরও ৪৬ জন সদস্য আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। তাদের নিরস্ত্র করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি ক্যাম্পের হেফাজতে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনা ঘটে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে আরাকান বিদ্রোহীদের মধ্যে গোলাগুলি সংঘাত চলেছে। মঙ্গলবার রাতেও সীমান্তের ওপারে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। সংঘাতে আরাকান বিদ্রোহীদের সঙ্গে টিকতে না পেরে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশ আশ্রয় নিচ্ছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের আষাঢ়তলী-জামছড়ি ও ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু সীমান্তপথে নতুন করে ৪৬ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। স্থানীয়দের দাবি, রাতের বেলায় প্রথম দফায় ৪৬ জন এবং দ্বিতীয় দফায় আরও ১৮ জন মিয়ানমারের বিজিপি সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বিজিবি তাদের নিরস্ত্র করে মঙ্গলবার সকালে আশ্রয় নেয়া ১২ জনের সঙ্গে নতুনদেরও হেফাজতে রেখেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।
তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে নতুন করে ৪৬ জন মিয়ানমারের বিজিপি সদস্য পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। তাদের নিরস্ত্র করে বিজিবি ক্যাম্পের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২৬০ জন মিয়ানমারের বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে অবস্থান করছে।