ইতিমধ্যে মার্কিন কংগ্রেস চীনা মালিকানার অ্যাপ টিকটকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ প্রস্তুত করছে। আমেরিকার পর এবার ইউরোপেও চাপের মুখে পড়তে যাচ্ছে টিকটক। ইউরোপীয় ইউনিয়নও অ্যাপের লাইট সংস্করণের কারণে কম বয়সিদের ক্ষতির আশঙ্কায় কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছে।
বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক। না মালিকানার এই অ্যাপ অসংখ্য কনটেন্ট ক্রিয়েটরের আয়ের উৎসও। তবে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনে ভারত ও আমেরিকা এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে। একই পথে হাঁটছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও।
শনিবার (২০শে এপ্রিল) মার্কিন সংসদের নিম্ন কক্ষের অধিবেশনে টিকটকের চীনা মালিক বাইটডান্স কোম্পানিকে সতর্ক করে দিয়েছে। এক বছরের মধ্যে সেই কোম্পানি টিকটকের মালিকানা হস্তান্তর না করলে জাতীয় স্তরে সেটি নিষিদ্ধ করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। উচ্চ কক্ষেও বিলটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও টিকটক প্রশ্নে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দলের নেতারা প্রায় একমত। টিকটকের মাধ্যমে চীন সরকার ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের উপর প্রভাব রাখতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।
ইউরোপীয় ইউনিয়নও টিকটকের প্রশ্নে আরও কড়া অবস্থান নিচ্ছে। ইউরোপেও চীনের অযাচিত প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা কাজ করছে। আপাতত টিকটক লাইট রিওয়ার্ড প্রোগ্রাম বাতিল করার পথে এগোতে পারে এই জোটটি।
টিকটক অবশ্য ইইউ-র হুমকি সম্পর্কে হতাশা প্রকাশ করে জানিয়েছে, ১৮ বছরের কমবয়সিদের জন্য রিওয়ার্ডস হাবের দ্বার বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ থাকার কথা নয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে টিকটকের বিরুদ্ধে অন্য একটি তদন্ত শুরু হয়েছে।k
আমেরিকা ও ইউরোপে টিকটক ব্যবহারকারীদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ মত প্রকাশের অধিকারের দোহাই দিয়ে নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করছে। এখনই পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞার পথে না গেলেও ইইইউ টিকটকের উপর চাপ বজায় রাখছে।
সূত্র: বিবিসি