সর্বশেষ
Home » বিনোদন » অন্যান্য বিনোদন » সরকারের ঘুম ভাঙবে কবে, প্রশ্ন স্বস্তিকার

সরকারের ঘুম ভাঙবে কবে, প্রশ্ন স্বস্তিকার

কলকাতার আরজি কর হাসপাতাল কাণ্ডে আবারো গণ মিছিলে নামে ভারতের সর্বস্তরের মানুষ। এই ঘটনার শুরু থেকেই প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন স্বস্তিকা মুখার্জী। তবে, এত দিন কলকাতা শহরে ছিলেন না। তাই প্রতিবাদ সীমিত ছিল সমাজমাধ্যমে। রবিবার রাজপথে নামলেন তিনি। জানালেন, এই প্রতিবাদ থামবে না। অভিনেত্রী বলেন, সকলে নিজের নিজের মতো করে প্রতিবাদ করছেন। কিন্তু ঘটনার তদন্ত কতটা এগিয়েছে, তা এখনও আমরা জানি না। কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। সিবিআইয়ের তদন্ত কোন পথে চলেছে, খবর আমাদের কাছে নেই।
সরকারের তো একটা দায়বদ্ধতা আছে। নির্যাতিতার বাবা-মাকে জবাব দেওয়ারও তো একটা দায়বদ্ধতা আছে। ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে উদ্ধার হয় চিকিৎসক-পড়ুয়া তরুণীর মরদেহ। তার পরে কেটে গিয়েছে প্রায় ২৩ দিন। কিন্তু ঘটনার তদন্ত কোন দিকে এগোচ্ছে, তা নিয়ে সন্দিহান স্বস্তিকা। তিনি বলেন, প্রায় এক মাস হতে চলল। এমন একটা নির্মম ঘটনার কোনও সুরাহা হল না। জনসাধারণকে বোকা ভেবে লাভ নেই। একটা মানুষকে দোষী হিসেবে সামনে আনা হচ্ছে, কিন্তু আমরা কেউ বিশ্বাস করি না, একা এত বড় কাণ্ড ঘটিয়েছে সে। সেটা অসম্ভব। আরজি কর হাসপাতালের ভাইরাল ভিডিও নিয়েও অভিনেত্রী বলেন, অনেক রকম ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, মৃতদেহের পাশে রীতিমতো গোল বৈঠক করে পরিকল্পনা চলেছে। অকুস্থলে কোনও নিরাপত্তা নেই। মিথ্যে কথা বলে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জনসাধারণ তো বুদ্ধি বিবেচনা কাজে লাগিয়ে ভোট দেন। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও মানুষকে বোকা ভাবার কোনও জায়গা নেই। জনসাধারণের জন্যই কিন্তু সরকার। মানুষের জন্যই পাওয়া ক্ষমতা সরকারের কাছে। কিন্তু তাও কেন সুরাহা পাচ্ছি না? সরকারের ঘুম ভাঙবে কবে! অভিনেত্রীর স্পষ্ট দাবি, সিবিআইয়ের হাতে তদন্ত যাওয়ার আগেই তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়েছে। দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর চালিয়েছে। রবিবারের মিছিলের পরে কয়েক জন অভিজ্ঞ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই বিষয়ে বিশদে জানার চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি। অভিনেত্রীর কথায়, সাধারণ নাগরিক হিসেবে আর কী কী করতে পারি যাতে সরকারের ঘুম ভাঙে, সেটাই দেখছি। নির্যাতিতার বাবা-মাও তাই চান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *