তাদের প্রেমের খবর ভাইরাল হয় অদ্ভুত এক কারণে। প্রেমের শুরুতে নাকি প্রেমিকা গাব্রিয়েলি মিরান্দাকে কিছু শর্ত মানার প্রতিশ্রুতি দিতে হয়েছিল ব্রাজিলের ফুটবলার এনদ্রিককে। এরপর থেকেই গোটা দুনিয়াতে তাদের প্রেম উঠে আসে আলোচনার শীর্ষে। এবার প্রেমকে পরিণতি দিলেন দুজন, আবদ্ধ হলেন বিবাহবন্ধনে।
মিরান্দা ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘ম্যাথু ১৯: ৬—তাই তারা এখন আর দুই নেই, এক। সুতরাং ঈশ্বর যাদের এক করেছেন, কেউ তাদের আলাদা করতে পারবে না।’ বাইবেলে যেকোনো বিয়েকেই এভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মিরান্দার সঙ্গে এনদ্রিকের প্রথম পরিচয়ের হয় বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরতে গিয়ে। মিরান্দা জানান, এনদ্রিক পালমেইরাসে খেলার সময় থেকেই তাকে চিনতেন। দুজনেরই বন্ধু, এমন একজনের মাধ্যমে তাদের প্রথম পরিচয়, তারপর প্রণয় আর এখন পরিণয়!
এবারের মৌসুমে ব্রাজিলের ক্লাব পালমেইরাস থেকে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছে এনদ্রিক। ১৮ বছর বয়সী এই ফুটবলারকে বলা হচ্ছে সময়ের বিষ্ময়। তার স্ত্রী মিরান্দা তার থেকে ৫ বছরের বড়।
পেশায় ২৩ বছর বয়সী মডেল মিরান্দা প্রেমের শুরুতেই এনদ্রিককে কিছু শর্ত দেন। শর্তের তালিকায় ধাপে বিষয়গুলো লেখা আছে এভাবে—‘স্বেচ্ছায় আবেগের বশে সম্পর্কে জড়িয়েছেন।’ আর এই সম্পর্কের ভিত হলো ‘সম্মানবোধ, বোঝাপড়া ও ভালোবাসা।’ চুক্তির দ্বিতীয় শর্ত যেকোনো ধরনের নেশাদ্রব্য পান এবং ‘হুট করে আচার-আচরণ পাল্টে ফেলা’ নিষিদ্ধ।
এছাড়া ‘যেকোনো পরিস্থিতিতে আই লাভ ইউ (আমি তোমাকে ভালোবাসি) বলা বাধ্যতামূলক’ শর্তও আছে। নিজেদের মধ্যে কথা বলার সময় কিছু শব্দও ছেঁটে ফেলেন চুক্তির শর্ত অনুযায়ী। সেগুলো হলো ‘হুম’, ‘আহেম’, ‘ওকে’, ‘বিউটি’ ও ‘লোল’।
শর্ত মানতে ভুল করলে কী হবে, সেটাও তাই যুক্ত ছিল চুক্তিতে। ভুলে হলে ‘জরিমানা দিতে হবে’ আর সেটি হতে হবে উপহারের মোড়কে। এনদ্রিকের ভাষায়, ‘যে এই নিয়ম ভাঙবে মাসের শেষে তাকে এমন কিছু দিতে হবে, যেটা তার প্রেমিক/প্রেমিকার পছন্দের। যেমন আমি তার কাছে একটি অ্যাপল হেডসেট চেয়েছিলাম, সে সেটি দিয়েছে।’