সর্বশেষ
Home » শিক্ষা » প্রতিদিন চার-পাঁচটা করে দাবি আসছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

প্রতিদিন চার-পাঁচটা করে দাবি আসছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

প্রতিদিন চার-পাঁচটা করে দাবি আসছে। এতে আমি বিরক্ত হই না। কিন্তু এসব সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান দেয়া সম্ভব হয় না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। শনিবার বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের শিক্ষকদের বেতন অনেক কম। এটা শিক্ষকতায় মনোযোগের অন্তরায়। প্রতিটি পর্যায়ে নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছে। বেসকরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা দূর-দূরান্তে গিয়ে চাকরি করছেন। এটা পুরোপুরি সমাধান না হলেও আংশিক সমাধানে কাজ করা হবে। অনেক শিক্ষক রয়েছেন যারা বিনা বেতনে শিক্ষকতা করছেন। শিক্ষকরা বঞ্চিত এটা ঠিক, তেমনি অন্যান্য পেশার মতো তাদেরও জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘উন্নত মানব সম্পদ ছাড়া কোনো দেশ উন্নতি করতে পারেনি। আমাদের অপরিকল্পিত শিক্ষাব্যবস্থা রয়েছে। জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টির নামে শুধু অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার মান উন্নয়ন করা হয়নি। এত বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছি, কিন্তু কর্মসংস্থানের যোগসূত্র তৈরি করিনি। এজন্যই শিক্ষিত বেকার তৈরি হয়েছে। শিক্ষার বৈষম্যই অর্থনৈতিক বৈষম্যর প্রধান কারণ।’

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের জাতীয় শিক্ষানীতি থাকা উচিত। কিন্তু আমরা শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে বিপাকে পড়েছি। সামনের বছরের পাঠ্যপুস্তকে পরিমার্জন অল্প সময়ে করতে হয়েছে। এজন্য হয়ত কিছু ভুল থাকতে পারে, ভবিষ্যতে তা সংশোধন করা হবে। আমরা শিক্ষা সংস্কার নিয়ে কাজ করছি। শিক্ষা কমিশন অনেক কঠিন কাজ। যারা ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসবে তারাই পূর্ণাঙ্গ কমিশন করবে। আমরা কিছু সংস্কার করবো।’

ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্ম রাজনীতির নামে শিখেছে দুর্বিতায়ন, দখলদারি। এটাতো আসলে রাজনীতি না।’

বিভিন্ন আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের কারণে ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধ হয়েছিল। ছাত্ররাতো ভোটার। তাদের সুষ্ঠু রাজনীতি চর্চার প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও নিজস্ব আচরণবিধিও তৈরি করা যেতে পারে।’

এ বছর বিশ্ব শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘শিক্ষকের কণ্ঠস্বর: শিক্ষায় একটি নতুন সামাজিক অঙ্গীকার’। দিবসটি উপলক্ষে দেশের ১২ গুণী শিক্ষককে সম্মাননা দেয়া হয়।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান এস এম এ ফায়েজ ও ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের প্রধান ড. সুজান মারি ভাইজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *