সর্বশেষ
Home » খেলা » ক্রিকেট » ক্রিকেটারদের গ্রেডিং নিয়ে প্রশ্ন ইমরুল কায়েসের

ক্রিকেটারদের গ্রেডিং নিয়ে প্রশ্ন ইমরুল কায়েসের

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) প্লেয়ার্স ড্রাফট হবে আগামী ১৪ অক্টোবর। তার আগে খেলোয়াড়দের মূল্য তালিকা ও ক্যাটাগরি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ‘এ’ গ্রেডের ক্রিকেটারদের জন্য। ছয় ক্যাটাগরিতে ১৮৮ জন স্থানীয় ক্রিকেটারের নাম চূড়ান্ত হয়েছে। ইমরুল কায়েস জায়গা পেয়েছেন ‘সি’ ক্যাটাগরিতে। যা দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ জাতীয় দলের সাবেক এই ওপেনার। ফেসবুকে বিশাল এক স্ট্যাটাস দিয়ে ক্রিকেটারদের গ্রেডিং পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ইমরুলের লেখা স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো- আসসালামু আলাইকুম, বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগে ক্রিকেটারদের গ্রেডিং দেখে চিন্তা করছি গ্রেডিংটা আসলে কিসের ভিত্তিতে করা হয়। জাতীয় দল, সারা বছরের ঘরোয়া পারফরম্যান্স, বিপিএলের পারফরম্যান্স নাকি শুধু নাম দেখে করা হয়। বছরজুড়ে ক্রিকেটের আশেপাশে না থাকা ক্রিকেটারের জায়গা হলো ‘বি’ গ্রেডে। অথচ গত বিপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করা ক্রিকেটাররা ‘সি’ গ্রেডে। তবে কি শুধু নাম কিংবা চেহারা দেখেই বিপিএলের ড্রাফটের গ্রেড নির্ধারণ করা হয়? বিপিএলের ২০১৮-১৯ মৌসুমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে আমি ভালো করতে পারিনি। যে কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজের পর আমাকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেয়া হয়। পরবর্তীতে বিসিবির একজন কর্মকর্তার সঙ্গে যখন কথা হলো তখন বাদ দেয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানালেন, বিপিএলে আমার পারফরম্যান্স তুলনামূলক ভালো ছিল না। যেহেতু প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি তাই আমি কোন সংকোচ ছাড়াই এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলাম। তবে জাতীয় দলে ফিরতে আমি কঠোর পরিশ্রম করতে থাকি। ২০১৯-২০ মৌসুমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ১৩ ম্যাচে ৪৪২ রানও করেছিলাম। কিন্তু এমন পারফরম্যান্সের পরও আমাকে জাতীয় দলে ডাকা হয়নি। এমনকি জাতীয় দলের কোন ক্যাম্পেও রাখা হয়নি। তবে কি বিপিএলে পারফর্ম না করলেই বাদ? কিন্তু পারফর্ম করলে, সেটাও তো বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে না। আমাদের ক্রিকেটের দুর্দিন কি তবে শেষ হবে না?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *