ভারতের হাসপাতালগুলো বিশেষ করে কলকাতার হাসপাতাল, মার্কেট ও শপিংমলগুলো অনেকটাই নির্ভর বাংলাদেশের পর্যটকদের ওপর।
বাংলাদেশি পর্যটক কমে যাওয়ায় নিউমার্কেটের ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, একই অবস্থা কলকাতার মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে।
আগে পর্যটক ভিসা নিয়েও এখানকার ডাক্তারের শরণাপন্ন হতেন বাংলাদেশিরা। তবে বর্তমানে বড় ধরনের শারীরিক জটিলতা ছাড়া ভিসা পাচ্ছেন না বাংলাদেশি রোগীরা।
কলকাতার বাইপাস সড়ক লাগোয়া মুকুন্দপুরের সবচেয়ে বড় বেসরকারি হাসপাতাল মণিপাল হাসপাতাল। এই এলাকায় অন্তত আটটি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। আছে হাসপাতাল নির্ভর স্থানীয় ব্যবসা বাণিজ্যও। কমতি নেই আবাসিক হোটেলেরও।
হাসপাতালগুলোর শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগস্ট-সেপ্টেম্বর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও আগের মতো ব্যবসা নেই। বাংলাদেশি রোগী কমে যাওয়ায় সার্বিকভাবে আয় কমেছে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ।
উন্নত পরিষেবা, অভিজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়াও ওষুধের সহজলভ্যতার কারণে গত কয়েক বছর ধরে দেশি বিদেশি পর্যটকদের আস্থার জায়গা হয়ে উঠেছে এলাকাটি। রোগীর সংখ্যা বাড়ায় স্বাভাবিকভাবে হাসপাতালগুলোও নানা রকম সুযোগ-সুবিধাও বাড়িয়েছে।
তবে চলমান ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের টানাপড়েন বেশ ধাক্কা লেগেছে এখানকার অর্থনীতিতে। পর্যটক ভিসায় প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশি রোগী আসতেন এই হাসপাতালগুলোতে।
কিন্তু এখন যারা মেডিকেল ভিসা পাচ্ছেন, কেবল তারাই সুযোগ পাচ্ছেন চিকিৎসা সেবা নেয়ার। এতে কমেছে রোগীর সংখ্যা।
কলকাতার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ড. অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, ভিসার ব্যাপারে কড়াকড়ির জন্য অনেক চিঠিপত্র বেশি লিখতে হচ্ছে, যেটা আগে করতে হত না।
স্বাস্থ্য ভিসার ব্যাপারে এখন অনেক কঠোর হয়েছে। আশা করছি কয়েক মাসের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা আবার আগের জায়গায় ফিরে যাব।