গাঁজার বিনোদনমূলক ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে পদক্ষেপ নিয়েছে থাইল্যান্ডের নতুন সরকার। এ নিয়ে একটি নতুন আইন পাস করার জন্য এগিয়ে যাচ্ছে তারা। ১৮ মাস আগে দেশটি গাঁজাকে বৈধতা দিয়েছিল সাবেক সরকার। থাইল্যান্ড এশিয়ার একমাত্র দেশ যেখানে গাঁজা বৈধ।
সিএনএন জানিয়েছে, গাঁজাকে বৈধতা দেয়ার পর দেশটিতে একটি লাভজনক গাঁজা শিল্প গড়ে উঠছে। তবে নতুন রক্ষণশীল জোট সরকার গত বছরের শেষের দিকে ক্ষমতায় এসে আবারও গাঁজা নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে। নতুন আইন অনুযায়ী শুধুমাত্র চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যবহারের জন্য গাঁজার অনুমোদন দেয়া হবে।
থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার একটি খসড়া বিল প্রকাশ করেছে যাতে গাঁজা ব্যবহারকারীদের জন্য মোটা জরিমানা বা এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। গাঁজা এবং গাঁজা সম্পর্কিত পণ্যগুলি কেবলমাত্র চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ব্যবহার সীমাবদ্ধ থাকবে। গত সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন এই প্রতিশ্রুতিই দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, তার নতুন সরকার আগামী ছয় মাসের মধ্যে গাঁজা সম্পর্কিত আইন সংশোধন করবে।
জনসমক্ষে গাঁজা সেবন নিষিদ্ধ হচ্ছে এবং গাঁজা দিয়ে তৈরি পণ্যের বিজ্ঞাপন এবং বিপণন নিষিদ্ধ করা হবে। থাভিসিন গাঁজা নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সোচ্চার হয়েছেন।
বেশ কয়েকটি মিডিয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন যে, মাদকের অপব্যবহার থাইল্যান্ডের জন্য একটি বড় সমস্যা।
থাইল্যান্ড এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ২০২২ সালের জুনে গাঁজাকে সম্পূর্ণরূপে বৈধ ঘোষণা করে। এটি এমন একটি পদক্ষেপ যা এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলোতে চিন্তাও করা যায় না। থাইল্যান্ডের প্রতিবেশী দেশগুলোতে গাঁজা রাখা, সেবন বা বিক্রির দায়ে দোষীদের দীর্ঘ জেল এবং এমনকি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। সিঙ্গাপুর মাদক পাচারের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। থাইল্যান্ডে ভ্রমণকারীদের দেশটি সতর্ক করেছে যে, সেখানে গিয়েও যদি কেউ গাঁজা সেবন করে, তাহলে দেশে ফেরার পর তার বিরুদ্ধে মামলা হবে।