গ্যাস সংকট অব্যাহত থাকলে দেশের এক্সপোর্ট-ইম্পোর্টে ব্যাঘাত ঘটবে। এতে দেশের অর্থনীতিতে দীর্ঘ সময়ের একটা সংকট সৃষ্টি হবে বলে মন্তব্য করেছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)-এর সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি মানবজমিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, গ্যাস তো এখন চট্টগ্রামে নাই। সারা দেশেই গ্যাসের সমস্যা প্রকট। পেট্রোবাংলা একটা ইক্যুইপমেন্ট ঠিক করতে পাঠিয়েছে সিঙ্গাপুর। গ্যাস কিন্তু অল্টারনেটিভ ন্যাশনাল গ্রিড থেকেও দেয়া যায়। এখন প্রচুর ডিমান্ড আছে কিন্তু সাপ্লাই হচ্ছে না। দ্রুত কীভাবে বিষয়টি স্যাটেল করা যায় তার একটা পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। ভোলায় যে গ্যাস আছে এটা কীভাবে দ্রততার সঙ্গে ন্যাশনাল গ্রিডে যোগ করা যায় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ভালো হয়।
মাহবুবুল আলম বলেন, যেগুলো গ্যাসনির্ভর প্রতিষ্ঠান আছে এগুলোকে রানিং রাখাটা জরুরি। এ ছাড়াও দেশ জুড়ে গ্যাসের মাধ্যমে রান্নার একটা নির্ভরতা চলে এসেছে।
এখন গ্যাস না থাকলে খুব সহজে বিকল্প রান্নার প্রক্রিয়া চালু করাও সহজ হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কতো টাকার ক্ষতি হয়েছে এটার কোনো হিসাব নাই। তবে প্রোডাকশন ব্যাহত হচ্ছে, ক্ষতি তো হবেই। বেশ কয়েক মাস ধরেই গ্যাস সংকট চলছে। ফলে ধীরে ধীরে কলকারখানার কাজের পরিমাণ কমতে শুরু করেছে। স্বভাবতই উৎপাদন কমছে। আরেকটি বড় বিষয় হচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে অনেক শ্রমিক কর্ম হারিয়ে ফেলবেন। উৎপাদন কমার সঙ্গে বেকারত্ব বাড়লে এই সংকট আরও প্রকট হবে। এখন পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এই সংকট মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির বিষয়টি আমাদের সকলের জানা। ডলার ক্রাইসিসটাও আমলে নিতে হবে আমাদের। সংঘর্ষের কারণে লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল করছে না বা করতে পারছে না। বিকল্প পথে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে। ফলে বাড়ছে শিল্পের আমদানি খরচ। এখন গ্যাস সংকট, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি আবার ট্রান্সপোর্ট কস্ট বেড়ে যাওয়ায় একটা তীব্র সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি বলেন, এখন আমাদের উচিত দ্রুত ইউনিট সংস্কারের ব্যবস্থা করে সাময়িক এই ধাক্কা সামাল দেয়া। এরপর দ্রুততার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী টেকসই সমাধানের জন্য গ্যাস আমদানি ও সরবরাহের দিকে নজর দেয়া জরুরি।