সারাদেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ও জ্বালানি খাতের সংকট নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এবি পার্টির নেতারা। রোববার সন্ধ্যায় এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে দলের পক্ষ থেকে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।
তাজুল ইসলাম বলেন, গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখে সরকার বাংলাদেশকে প্রস্তর যুগে ঠেলে দিচ্ছে। কলকারখানাসহ বাসাবাড়ির রান্নার গ্যাসও সরকার এখন সরবরাহ করতে পারছে না। এই সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনও হুমকির মুখে পড়েছে। ডলার সংকটের কারণে আগামীতে জ্বালানি আমদানি আরও কঠিন হয়ে পড়বে। ইতিমধ্যেই ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম তাদের রিপোর্টে জ্বালানি খাতের সংকটকেই প্রধান সংকট হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছে।
বর্তমান চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে এক হাজার ঘনফুট যা এই অর্থ বছরে দেড় হাজার ঘনফুট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থনৈতিক সংকটে জ্বালানি আমদানি করতে না পারায় এই সংকট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বেশির ভাগ বিদ্যুৎ কেন্দ্র গ্যাস ভিত্তিক হওয়ায় গ্যাস সংকটে বিদ্যুৎ খাত ধ্বসে পড়তে পারে।
এই পরিস্থিতিতে আগামী গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশের গ্যাস, বিদ্যুৎ সহ পুরো জ্বালানি খাত গভীর সংকটে পড়বে বলেও দলের পক্ষ থেকে আশংকা প্রকাশ করা হয়। সরকারের অসচেতনতা ও নির্বিকার ভাবের নিন্দা জানিয়ে তাজুল ইসলাম আরও বলেন- ভারত ও মিয়ানমার সরকার যেখানে বঙ্গোপসাগরে তেল, গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সেখানে বাংলাদেশের এর সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা খুবই সন্দেহজনক। তিনি অভিযোগ করে বলেন, দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই খাতে আমদানি নির্ভর করে তোলা হয়েছে শুধুমাত্র সরকারের কিছু সিন্ডিকেট লুটেরাদের সুবিধার্থে। আমরা মনে করি নিজেদের তেল গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন কর্যক্রম বন্ধ রেখে জনগণের টাকা লুটপাটের জন্যই একটি আমদানি নির্ভর জ্বালানি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। যার কারণেই দেশ আজ এই গভীর সংকটে নিপতিত।