সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়কে আবারও প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগের সরকারেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। এর আগে গত ২৯ নভেম্বর এই পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে টানা চতুর্থবার ও সবমিলিয়ে পঞ্চমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পঞ্চম মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনায় এবার শেখ হাসিনার সঙ্গী হন ২৫ জন মন্ত্রী এবং ১১ জন প্রতিমন্ত্রী। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পর প্রধানমন্ত্রীর ছয় জন উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়া হয়। গত মন্ত্রিসভার মতো নতুন মন্ত্রিসভায়ও ড. মসিউর রহমান, ড. গওহর রিজভী, ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, সালমান ফজলুর রহমান, মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং সাবেক মুখ্যসচিব কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এদিকে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর ছয় উপদেষ্টার দপ্তর বণ্টন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রুল অব বিজনেস অনুযায়ী তাদের বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্ব দেন।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এতে বলা হয়েছে-ড. মসিউর রহমানকে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা করা হয়েছে। ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীকে প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ড. গওহর রিজভী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা। সালমান ফজলুর রহমান হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা। শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা করা হয়েছে ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে। আর প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা হয়েছেন মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক। এই ছয় উপদেষ্টার পাঁচজন আগের সরকারেও একই দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন। কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবার নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শিক্ষা ও সংস্কৃতির দায়িত্ব পেলেন। এদিকে সজীব ওয়াজেদ জয়কে প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছে।