সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের রাউন্ড রবিন লীগে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। আজ বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের যোগ করা সময়ে সাগরিকার গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। এ জয়ে দুই ম্যাচে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট। চার দলের টুর্নামেন্টে দুই ম্যাচ শেষে ভারত ও নেপালের সংগ্রহ সমান তিন পয়েন্ট। আগামীকাল ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এই দু’দল। ওই ম্যাচে হার এড়াতে পারলেই ফাইনালে বাংলাদেশকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে ভারত। একই দিন নিয়মরক্ষার লড়াইয়ে ভুটানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
চার দলের রাউন্ড রবিন লীগ পদ্ধতির এই টুর্নামেন্টে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে আসর শুরু করে বাংলাদেশ। ভুটানকে ১০-০ গোলে হারিয়ে শুরু করে ভারত। তাইতো এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই সাবধানি ফুটবল খেলতে থাকে বাংলাদেশ।
নিজেদের দুর্গ আগলে কাউন্টার অ্যাট্যাক নির্ভর ফুটবল খেলতে থাকে সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। এরমাঝেই দ্বিতীয় মিনিটে দূরপাল্লার ফ্রি কিকে চেষ্টা করেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আফিদা খন্দকার; বল কাঁপায় উপরের জাল। অষ্টম মিনিটে বা দিক থেকে আসা ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে শুরুতে তালগোল পাকিয়েছিলেন আফিদা ও জয়নব। তবে ভারতের মিডফিল্ডার পূজা বলের নাগাল পাওয়ার আগেই স্লাইডে ক্লিয়ার করেন গোলরক্ষক স্বপ্না রানী মণ্ডল। দ্বাদশ মিনিটে আবারও বাংলাদেশের রক্ষণে হানা দেয় ভারত। সতীর্থের ক্রস ধরে নেহার নেওয়া কোনাকুনি শট ঝাঁপিয়ে আঙুলের টোকায় কর্নার করে দেন স্বপ্না।
৩৭তম মিনিটে আফিদার ফ্রি কিকে সুরমা জান্নাত ভালো অবস্থানে থেকেও ঠিকঠাক হেড নিতে পারেননি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে মুনকি বক্সের একটু উপরে ফাউলের শিকার হলে ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। আফিদার শট অল্পের জন্য যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধে তুলনামূলক ভালো ফুটবল খেলে স্বপ্না-সাগরিকারা। বিশেষ করে ম্যাচের শেষ দশ মিনিটে সহজ দুটি সুযোগ নষ্ট করে বাংলাদেশ। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে যার একটি করেন মুনকি আক্তার। ওয়ান টু ওয়ানে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গায়ে মারেন বাংলাদেশের এই ফরোয়ার্ড। তবে যোগ করা সময়ে আর ভুল করেননি নেপাল ম্যাচে জোড়া গোল করা সাগরিকা। অধিনায়ক আফিদা খন্দকারের বাড়ানো বলে দারুণ গোল করে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন এই ফরোয়ার্ড।