ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সোমবার একদিনে ৩৫৮ জন‌ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে ভারতে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৬৪৯১জন। ভারত সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতে কেরালায় সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।সেখানে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১,৯৫৭ জনে পৌঁছেছে। এর পরেই রয়েছে গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ এবং দিল্লি। গত ২৪ ঘন্টায় রাজধানী দিল্লিতে ৪২ জন নতুন করে করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭২৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ৫৪ জন নতুন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ফলে মোট সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪৭ এ পৌঁছেছে, যা বর্তমানে কেরালা (১,৯৫৭) এবং গুজরাট (৯৮০) এর পরে দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ। সোমবার করোনা নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সকলকে আতঙ্কিত না হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন,কোভিড শব্দটি শুনলেই আমরা ভয় পাই। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে বেসরকারি হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি কিছু বলতে চান নি।

ভারতে করোনা সংক্রমণের বর্তমান বৃদ্ধির কারণ হল নতুন ওমিক্রন উপ-ভেরিয়েন্ট। এগুলি হল, জেএন১, এনবি.১.৮.১, এলএফ৭ এবং এক্সএফসি। এগুলির সংক্রমণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হালকা লক্ষণ দেখা গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বর্তমানে এগুলোকে “পর্যবেক্ষণাধীন রূপ” হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে। জানানো হয়েছে এখনও উদ্বেগের কারণ নেই। তবে সতর্কতা প্রয়োজন। ইতিমধ্যে করোনার জন্য দায়ী ভাইরাস পার্স কোভিড২ অদৃশ্য হয়ে যায়নি। তবে এটি আর অপ্রত্যাশিত জরুরি অবস্থার মতো আচরণ করছে না। বরং এটি ফ্লুর মতো পুনরাবৃত্তিমূলক অসুস্থতার চক্রের অংশ হয়ে উঠেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here