ভারতের আসাম রাজ্যে বিদেশি শনাক্তকরণ এবং তাদের বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’ করার বিষয়ে রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সাম্প্রতিক ঘোষণা এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। রাজ্যের আইনসভায় তিনি জানিয়েছেন, বিদেশি হিসেবে শনাক্ত ব্যক্তিদের সরাসরি বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং এই প্রক্রিয়ায় কোনো আইনি অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না।

গতকাল ৯ জুন, আইনসভায় আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা স্পষ্ট করে দেন যে, এ বিষয়ে রাজ্যের জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) সরাসরি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। তিনি আরও জানান, ১৯৫০ সালের একটি পুরনো আইন পুনরায় কার্যকর করা হয়েছে, যার বৈধতা ভারতের সুপ্রিম কোর্ট স্বীকৃতি দিয়েছে।

 

যারা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক বিদেশি ঘোষিত হয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি অনুযায়ী, গত কয়েক সপ্তাহে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের আদেশের ভিত্তিতে প্রায় ৩৫০ জনকে বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’ করা হয়েছে।

তিনি ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের একটি ঐতিহাসিক রায়ের কথাও উল্লেখ করেন। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের সেই রায়ে বলা হয়েছিল, ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পর যেসব ব্যক্তি আসামে প্রবেশ করেছেন, তারা ভারতের নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হবেন না। রায়ে আরও স্পষ্ট করা হয় যে, ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পর আসামে প্রবেশকারীদের কোনো ধরনের ছাড় বা ব্যতিক্রম দেওয়ার সুযোগ নেই। আদালত ১৯৫০ সালের ‘পুশ ইন’ আইনকেও বৈধ ঘোষণা করে এবং জানায় যে, এই আইনের আওতায় জেলা প্রশাসকরা চাইলে যে কাউকে ‘পুশ ইন’ করতে পারবেন, যার জন্য কোনো আইনি প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হবে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here