এবার এনআরবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মামুন মাহমুদ শাহ পদত্যাগ করেছেন। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় ১৪ দিন আগে তিনি পদত্যাগ করেন।
২০২১ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি এনআরবি ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগ দেন মামুন মাহমুদ শাহ। তার মেয়াদ শেষ ছিল ২রা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে গত ২১শে জানুয়ারি ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের কাছে দেয়া পদত্যাগপত্রে এমডি উল্লেখ করেন, ব্যক্তিগত কারণে তিনি এনআরবি ব্যাংকে মেয়াদ থাকা পর্যন্ত চাকরি করতে পারছেন না।
মামুন মাহমুদ শাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যাংকটিতে কাজের পরিবেশ না থাকায় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেছি। এর বেশি কিছু তিনি বলতে চাননি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৩ সালে প্রবাসীদের উদ্যোগে গঠিত যে তিনটি ব্যাংককে দেশে ব্যাংকিং কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে অনুমোদন দেয়, তার মধ্যে একটি এনআরবি ব্যাংক। তিন ব্যাংকের মধ্যে এনআরবি ব্যাংকটিই প্রকৃত প্রবাসী ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে গঠিত হয়। অন্য দুটির সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও যুক্ত ছিলেন।
এনআরবি ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, কয়েকজন পরিচালকের চাপে ব্যাংকটিতে গত কয়েক মাসে বেশ কিছু ঋণ অনুমোদন হয়, যা নিয়মিতভাবে আদায় হচ্ছে না। সম্প্রতি আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে টাকা দেয়ার জন্য চাপ দেয়া হয়, যার বেশির ভাগই বেনামি ঋণ। এই বেনামি ঋণের জের ধরেই এমডি পদ ছেড়ে দেন।
২০২১ সালে ব্যাংকটির আমানত ছিল ৪ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা, যা গত বছর শেষে বেড়ে হয়েছে ৬ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা। ২০২১ সালে ব্যাংকটির ঋণ ছিল ৪ হাজার ২৪ কোটি টাকা, যা গত বছর শেষে হয়েছে ৬ হাজার ৭ কোটি টাকা।
এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩০০ কোটি টাকা বা ৫ শতাংশ।
২০১৯ সালে ব্যাংকটি নিট লোকসান করলেও ২০২১ সালে মুনাফা করে ৬৩ কোটি টাকা। যা ২০২২ সালে কিছুটা কমে হয় ৫৫ কোটি টাকা। গত বছর ব্যাংকটি ১৪৪ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করে।